রফিকুল আমীনের জুম বৈঠক: ৮ জন কারারক্ষী প্রত্যাহার

ডেসটিনির এমডি রফিকুল আমীন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) প্রিজন সেলে রফিকুল আমীনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা প্রধান কারারক্ষীসহ আটজনকে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করা হয়েছে। রফিকুল আমীন বহুল আলোচিত বহুস্তর বিপণন কোম্পানি (এমএলএম) ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের কর্ণধার।

আটজন কারারক্ষীকে প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ কারা তত্ত্বাবধায়ক সুভাষ কুমার ঘোষ। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, প্রধান কারারক্ষী আবদুস সালামসহ রফিকুল আমীনের পাহারায় থাকা আটজন কারারক্ষীকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।

এদিকে কারা কর্তৃপক্ষ বলেছে, এখন থেকে প্রিজন সেলে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালনের জন্য একজন ডেপুটি জেলারকে দায়িত্ব দেওয়া হবে।

রফিকুল আমীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিজন সেলে বসেই জুমে ব্যবসায়িক বৈঠক করছেন—সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমেও এ খবর বের হয়। এরপর কারা কর্তৃপক্ষ প্রধান কারারক্ষীসহ আট কারারক্ষীকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রায় দুই মাস আগে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার কথা বললে রফিকুল আমীনকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়।

আরও পড়ুন

রফিকুল আমীন এই জুম বৈঠক কীভাবে করলেন, তা খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে কারা অধিদপ্তর। ঢাকা বিভাগের কারা উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি-প্রিজনস) তৌহিদুল ইসলামকে প্রধান করে গঠিত এই কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। কারা মহাপরিদর্শক (আইজি-প্রিজনস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান বিষয়টি জানিয়ে বলেন, প্রতিবেদন পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এক ঘণ্টার বেশি সময়ের একটি ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, রফিকুল আমীনের নাম লেখা ইংরেজিতে ‘আর’। তিনি বৈঠকে অংশ নেওয়া অন্যদের দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন।

বিএসএমএমইউ বিষয়টি খতিয়ে দেখতে শনিবার তদন্ত কমিটি গঠন করতে যাচ্ছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এ বিষয়ে প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি। সত্যিই যদি কারাগারে বসে জুম বৈঠক করা হয়, এটা আরেকটা অপরাধ। এ কাজ করতে রফিকুল আমীনকে যাঁরা সহযোগিতা করেছেন, তাঁরাও অন্যায় করেছেন।’