খালের ভাঙনে সেতুর দুই প্রান্তে সৃষ্টি হয়েছে বড় গর্ত। এ কারণে বন্ধ যানবাহন চলাচল। চট্টগ্রামের রাউজানের নোয়াপাড়া ইউনিয়নের মুহাম্মদ শাহ সড়কে ছোবহান দফাদারের হাট এলাকায় এই সেতুর অবস্থান। ভাঙা সেতুর কারণে এক সপ্তাহ ধরে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন ১১টি গ্রামের ২০ হাজার মানুষ।
৫ কিলোমিটার দীর্ঘ মুহাম্মদ শাহ সড়ক দিয়ে কমলার দীঘি, সাদার পাড়, মোকামীপাড়া, খন্দকারপাড়া, মধ্যমপাড়া, পূর্ব কচুখাইন, পশ্চিম কচুখাইনসহ ১১টি গ্রামের ২০ হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। সড়কপথে চলাচল করে অটোরিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহন।
গতকাল শনিবার সকালে ওই সড়কে গিয়ে দেখা গেছে, ছোবহান দফাদারের হাট এলাকায় সার্কদা খালের ভাঙনে সেতুর দুই প্রান্তেই সড়ক ধসে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে পুরোপুরি। সড়ক দিয়ে হেঁটেই চলাচল করছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
ওই সড়ক দিয়ে মেয়ে নিয়ে বিদ্যালয়ে যাচ্ছিলেন কচুখাইন গ্রামের মেহেরুন্নেছা। তিনি বলেন, ‘মেয়ের স্কুল দুই কিলোমিটার দূরে। আগে রিকশায় যেতাম। এখন দুই কিলোমিটার হেঁটে তাকে স্কুলে নিয়ে যাই। এতে মেয়ের খুব কষ্ট হচ্ছে।’
নোয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য এস এম হাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার ওয়ার্ডের এই সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল। সড়কটির সংস্কারকাজ হয়েছে প্রায় ছয় বছর আগে। এ কারণে এটি দিয়ে গাড়ি চলে হেলেদুলে। এর ওপর খালের ভাঙনে সেতুর দুই পাশের সংযোগ সড়ক ধসে গেছে। এতে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে পুরোপুরি। এতে ১১টি গ্রামের মানুষ পড়েছে চরম দুর্ভোগে।’
নোয়াপাড়া ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বাবুল মিয়া বলেন, সড়কটির মেরামত ও খালের ভাঙা অংশ দ্রুত মেরামত করতে উপজেলা এলজিইডি অফিসে আবেদন করা হবে।
রাউজান উপজেলা প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন গতকাল শনিবার বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, ‘সড়কটির করুণ অবস্থা তা জানি। কিন্তু সেতুর অংশ ভেঙে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে এই সংবাদ কেউ আমাকে দেয়নি। ক্ষতবিক্ষত সড়কটি সংস্কারের প্রস্তাবনা পাঠালেও অনুমোদন দেওয়া হয়নি। নতুন করে আবারও প্রস্তাব পাঠানো হবে।’