তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্যসচিব আনু মুহাম্মদ বলেছেন, রাজধানীসহ সারা দেশে অনেক উদ্বাস্তু আছে। বিভিন্ন জায়গায় উন্নয়ন প্রকল্পের নামে, জমি দখলের নামে অনেক উদ্বাস্তু এখন ঢাকায় থাকে। সুন্দরবনের রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে উদ্বাস্তুর এই সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে যাবে। তিনি বলেন, এই অবস্থা পরিবর্তনের জন্য সর্বজনের দাবি হিসেবে রামপাল প্রকল্প বন্ধের দাবি সম্মিলিতভাবে সামনে আনতে হবে।
গতকাল সোমবার রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক পদযাত্রাপূর্ব সমাবেশে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ এসব কথা বলেন।
২৬ নভেম্বর ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রামপাল প্রকল্পসহ সুন্দরবনবিনাশী সব প্রকল্প বন্ধ এবং সাত দফা বাস্তবায়নের দাবিতে মহাসমাবেশ ডেকেছে জাতীয় কমিটি। মহাসমাবেশ সফল করতে গণসংযোগের অংশ হিসেবে জাতীয় জাদুঘরের সামনে সমাবেশ করে পদযাত্রা শুরু হয়ে নিউমার্কেটে গিয়ে শেষ হয়।
আনু মুহাম্মদ বলেন, সুন্দরবনে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র হলে ৩৫ লাখ মানুষ জীবিকা হারিয়ে উদ্বাস্তুতে পরিণত হবে। দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের জেলাগুলোর ৪ কোটি মানুষ প্রাকৃতিক দুর্যোগের হুমকিতে পড়বে। তিনি সরকার সমর্থক বুদ্ধিজীবী ও সংগঠনের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা যদি সরকারের শুভাকাঙ্ক্ষী হন, আপনাদেরও উচিত আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়ে কিংবা আলাদা করে মানববন্ধন বা সমাবেশ করে সরকারকে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধে চাপ দেওয়া।’
ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের তৈমুর খানের সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, সিপিবির ঢাকা মহানগরের নেতা সিকান্দার হায়াতসহ বামপন্থী বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।