রায়পুরে মিল্ক ভিটায় দুধ সংগ্রহ বন্ধ, দিশেহারা খামারিরা

টানা অবরোধের কারণে মিল্ক ভিটার লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার শীতলীকরণ কেন্দ্রে দুধ সংগ্রহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ধারণক্ষমতা না থাকায় ১ ডিসেম্বর থেকে সমবায়ী খামারিদের কাছ থেকে দুধ সংগ্রহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। মিল্ক ভিটায় দুধ দিতে না পারায় দুধ উৎপাদনকারী শতাধিক খামারি দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
ওই শীতলীকরণ কেন্দ্র থেকে জানা গেছে, সমবায়ীদের কাছ থেকে দুধ কিনে তা এই কেন্দ্রে শীতলীকরণ করা হয়। পরে দুধ মিল্ক ভিটার ঢাকার মিরপুরের প্রধান কারখানায় পাঠানো হয়। প্রতিদিন এখানে শতাধিক খামারি ৪০০ থেকে ৫০০ লিটার দুধ দেন। এই কেন্দ্রে মোট পাঁচ হাজার লিটার দুধ ধারণ করার ক্ষমতা রয়েছে। অবরোধের কারণে দুধ ঢাকায় পাঠাতে না পারায় এই কেন্দ্রে নতুন করে দুধ সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছে না।
হাজীমারা খেয়াঘাট সমবায় সমিতির সভাপতি মালেক গাজী বলেন, মিল্ক ভিটায় দুধ নেওয়া বন্ধ করে দিলে খামারিরা দুধ নিয়ে বিপাকে পড়েন। তখন অর্ধেক দামে স্থানীয় বাজারে সেই দুধ বিক্রি করতে হয়। অনেক সময় বাজারে নিতে নিতে নষ্টও হয়ে যায়। মিল্ক ভিটায় টানা চার দিন দুধ সংগ্রহ বন্ধ থাকায় অনেক খামারির দুধ নষ্ট হয়ে গেছে।
যোগাযোগ করা হলে মিল্ক ভিটার রায়পুর কারাখানার ব্যবস্থাপক নজরুল ইসলাম বলেন, আগের সংগ্রহ করা দুধ অবরোধের কারণে ঢাকায় পাঠানো যাচ্ছে না। আর ধারণক্ষমতা না থাকায় সমবায়ীদের কাছ থেকে আপাতত দুধ সংগ্রহ বন্ধ রাখা হয়েছে। অবরোধ শেষ হলে দুধ আবার সংগ্রহ করা শুরু করা হবে।