নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় যুবদলের নেতা-কর্মীদের ওপর গতকাল বুধবার দুপুরে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গোলাকান্দাইল এলাকায় কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া ওরফে দীপুর বাড়িতে এ হামলা হয়। যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বের করা শোভাযাত্রা শেষে নেতা-কর্মীরা এ সময় বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। মোস্তাফিজের ব্যক্তিগত দুটি গাড়ি, ভাড়া করে আনা দুটি মাইক্রোবাস, একটি বাস ও বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে। হামলায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
উপজেলা যুবদলের সভাপতি গোলাম ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল দুপুরে মোস্তাফিজের নেতৃত্বে শোভাযাত্রা বের করা হয়।
শোভাযাত্রাটি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের গাউছিয়া গোলচত্বর ঘুরে গোলাকান্দাইল এলাকায় মোস্তাফিজের বাড়িতে পৌঁছায়। সেখানে নেতা-কর্মীরা বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। একপর্যায়ে স্থানীয় যুবলীগ, ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মী লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালান।
এ সময় বাড়ির ভেতরে থাকা দুটি ব্যক্তিগত গাড়ি ও যুবদলের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের ১০ থেকে ১৫টি মোটরসাইকেল, ভাড়া করে আনা দুটি মাইক্রোবাস ও একটি বাস ভাঙচুর করা হয়। এ ছাড়া বাড়ির আসবাব ও জানালার কাচও ভাঙচুর করা
হয়। হামলায় আহত যুবদল, ছাত্রদলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ভুলতা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল আল মামুন বলেন, যুবদলের শোভাযাত্রা থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটূক্তি করে নানা স্লোগান দেওয়া হয়। এর প্রতিবাদে উত্তেজিত জনতা, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাঁদের ধাওয়া করেন।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান বলেন, হামলা, ভাঙচুরের সঙ্গে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ জড়িত নয়।
হামলার পরপরই আওয়ামী লীগের স্থানীয় সাংসদ গোলাম গাজী দস্তগীর বীর প্রতীক মোস্তাফিজের বাড়িতে যান। এ ঘটনায় তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘উত্তেজনাবশত একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। সমস্যা যাতে আর না বাড়ে, সে জন্যই এখানে এসেছি।’
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।