রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে: ব্রিটিশ হাইকমিশনার

ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন
ফাইল ছবি

রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন। মঙ্গলবার ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন।


অনুষ্ঠানে রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন বলেন, বাংলাদেশের শরণার্থী সংকট মোকাবিলার অনেক অভিজ্ঞতা রয়েছে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে নতুন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
রোহিঙ্গা বিষয়ে গবেষণার জন্য কক্সবাজারে একটি শরণার্থী রিফিউজি স্টাডিজ ইউনিটের (আরএসইউ) কার্যক্রম চালু করেছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর পিস অ্যান্ড জাস্টিস (সিপিজে)। আজ মঙ্গলবার সকালে ভার্চ্যুয়ালি রিফিউজি স্টাডিজ ইউনিটের উদ্বোধন করা হয়। বিশ্বব্যাপী চলমান শরণার্থী সংকট ও বাংলাদেশে অবস্থানরত মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সমস্যার কথা বিবেচনায় নিয়ে আরএসইউ চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে শরণার্থীবিষয়ক গবেষণা, শিক্ষা ও নীতি কৌশল নির্ধারণ করা যাবে।


অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ভিনসেন্ট চ্যাং ও রাখাইনবিষয়ক কফি আনান কমিশনের সাবেক সদস্য লটেসিয়া ভান ডেন এসুম। অনুষ্ঠানে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, জাতিসংঘ ও দাতা সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।


অনুষ্ঠানে লটেসিয়া ভান ডেন এসুম বলেন, রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন ব্যবস্থা জোরদারের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাজ করা উচিত। তিনি বলেন, রাখাইন রাজ্যের ওপর গঠিত কফি আনান কমিশন ২০১৭ সালে যে ৮৮টি সুপারিশ করেছিল, তা এখনো প্রাসঙ্গিক। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী একা এ সমস্যা সমাধান করতে পারবে না। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে।

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ভিনসেন্ট চ্যাং বলেন, আরএসইউর অধীনে নেওয়া শরণার্থীবিষয়ক গবেষণা ও শিক্ষা কার্যক্রম ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের মানোন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সেন্টার ফর পিস অ্যান্ড জাস্টিসের নির্বাহী পরিচালক মঞ্জুর হাসান। আরএসইউ সম্পর্কিত তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করেন এম শহিদুল ইসলাম ও জেসিকা অলনি।