বৈঠক শেষে সংসদীয় কমিটির সভাপতি ফারুক খান সাংবাদিকদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্র র্যাব ও সংস্থাটির কয়েকজন সাবেক–বর্তমান কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। তারা ‘লেবার রাইটস’ নিয়েও কথা বলছে। লেবার রাইটস নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নও কথা বলতে শুরু করেছে। কমিটি বলেছে, এ দুটি বিষয় নিয়ে চিন্তা করতে হবে। র্যাবের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রাখতে হবে।
অভিযোগগুলো ‘ফ্যাক্টস অ্যান্ড ফিগার’ দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। তিনি বলেন, সংসদীয় কমিটি বলেছে, শ্রমিকদের বিষয়ে যে প্রশ্নগুলো রয়েছে, তা আরও গভীরে গিয়ে দেখতে হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গেও আলোচনা চালিয়ে যেতে বলেছে কমিটি।
এর আগে র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা কাটাতে বন্ধুপ্রতিম দেশগুলোকে কাজে লাগানোর সুপারিশ করেছিল সংসদীয় কমিটি। আজ বৈঠক শেষে ফারুক খান বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান ভারতের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন। জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলেছেন।
গত ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকের কার্যবিবরণী থেকে জানা যায়, গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিক গ্রেপ্তারের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে তথ্য চেয়েও যথাসময়ে পায়নি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বৈঠকে বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র, ইইউসহ বেশ কিছু উন্নয়ন সহযোগী দেশের আইনপ্রণেতারা বাংলাদেশের কাছে ‘ফোর্সড এনফোর্সমেন্ট’, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার ইত্যাদি বিষয়ে তথ্য চেয়ে চিঠি দেন। কিন্তু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তথ্য না পাওয়ায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণায়ের পক্ষ থেকে যথাসময়ে চিঠির জবাব দেওয়া সম্ভব হয়নি। তিনি আরও বলেছিলেন, বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোই লবিস্ট হিসেবে কাজ করে। কিন্তু দূতাবাসের কর্মকর্তদের সঙ্গে সেদেশের আইনপ্রণেতাদের সম্পর্ক তেমন ঘনিষ্ঠ না হওয়ার কারণে অর্থের বিনিময়ে নিয়োজিত লবিস্ট ফার্মগুলো বেশি প্রভাব বিস্তার করে থাকে।
ফারুক খানের সভাপতিত্বে আজকের বৈঠকে কমিটির সদস্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম ও হাবিবে মিল্লাত অংশ নেন।