লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় অস্ত্র ও গুলি রেখে ফাঁসিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতাকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) গ্রেপ্তার করেছে বলে ওই নেতার পরিবার অভিযোগ করেছে। গতকাল সোমবার রায়পুরের একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলন করে তারা র্যাব-১১–এর সদস্যদের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ করে।
ওই অভিযোগ অস্বীকার করে গতকাল র্যাব-১১ লক্ষ্মীপুর ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর এ এম আশরাফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, র্যাব অস্ত্রের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েই অভিযান চালিয়েছে। এ সময় ওই নেতার ঘরের ওই কক্ষে দুটি এলজি ও দুটি গুলি পাওয়া যায়। গত দুই মাসে তার বিরুদ্ধে র্যা বের কাছে অসংখ্য অভিযোগ আসে। পরিবার যে অভিযোগ করছে, তা সঠিক নয়।
গতকাল সংবাদ সম্মেলনে মো. আলাউদ্দিন (২৮) নামের স্বেচ্ছাসেবক লীগের ওই নেতার পরিবার এ ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানায়। এ সময় আলাউদ্দিনের বাবা এনায়েত উল্যা, মা আনোয়ারা বেগম, ছোট ভাই সালাউদ্দিন, বোন নাছরিন জাহান উপস্থিত ছিলেন।
গত বুধবার দক্ষিণ রায়পুর গ্রাম থেকে আলাউদ্দিনকে র্যাব-১১–এর সদস্যরা আটক করেন। আলাউদ্দিন রায়পুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য।
গ্রেপ্তারের পর মেজর এ এম আশরাফুল ইসলাম বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ রায়পুর গ্রামের বাড়ি থেকে সন্ত্রাসী আলাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আলাউদ্দিনের বাবা এনায়েত উল্যা বলেন, র্যাব পরিচয়ে সাদাপোশাক পরা পাঁচ-ছয়জন লোক ঘরের ভেতর ঢুকেই ছোট ছেলে সালাউদ্দিন ও বড় ছেলের স্ত্রী ইয়াসমিন সুলতানাকে ঘরের দুটি কক্ষে আটক করে দরজা-জানালা লাগিয়ে দেয়। এ সময় আলাউদ্দিনকে ঘরের একটি কক্ষে নিয়ে ব্যাপক মারধর করে হাত ও মুখ বেঁধে বসিয়ে রাখে। পরে আলাউদ্দিনের কাছ থেকে দুটি অস্ত্র ও গুলি পাওয়া গেছে বলে র্যাব তাঁদের জানিয়েছে।
এনায়েত উল্যা দাবি করেন, প্রতিবেশী মো. হুমায়ুনদের সঙ্গে তাঁদের জমি নিয়ে অনেক দিন ধরে বিরোধ চলছে। তারা আগেও মিথ্যা তথ্য দিয়ে তাঁর ভাইকে রায়পুর থানা-পুলিশকে দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করে। ওই প্রতিবেশীরা এবার র্যাবের সহযোগিতায় তাঁর ছেলেকে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসিয়ে দিয়েছে। ঘটনার সময় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ আটজন ইউপি সদস্য থাকলেও র্যাব কাউকে ঘরে প্রবেশ করতে দেয়নি।