লঞ্চভাড়া বেড়েছে ‘অনুমানের’ ওপর

মালিকদের দেখানো পণ্য ও সেবার দামের সঙ্গে বাজারদরের বিস্তর ফারাক। কমিটি সুপারিশ করেছিল ২৯% বৃদ্ধি। বিআইডব্লিউটিএ বাড়িয়ে দিয়েছে ৩৫-৪৩%।

  • লঞ্চমালিকদের সংগঠন ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে গত ৫ নভেম্বর বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যানকে চিঠি দেয়।

  • চিঠির দুই দিনের মধ্যেই ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত জানায় বিআইডব্লিউটিএ।

লঞ্চভাড়া বেড়ে যাওয়ার কারণে যাত্রীদের ব্যয় বেড়ে গেছে। রাজধানীর সদরঘাট এলাকায়
ফাইল ছবি

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার পর অনেকটা অনুমানের ওপর ভিত্তি করে লঞ্চভাড়া বাড়িয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। ডিজেলের দাম ও অন্যান্য কারণে ব্যয় আসলে কতটুকু বাড়ল, তা নিয়ে গভীর কোনো বিশ্লেষণ করেনি সরকারি এই সংস্থা।

লঞ্চভাড়া বাড়ানো হয় মূলত মালিকদের দেওয়া ব্যয় বিবরণী ধরে। এই বিবরণী বিশ্লেষণ করে ও বাজার যাচাই করে দেখা গেছে, মালিকদের সমিতি খুচরা যন্ত্রাংশ ও অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যয় অনেক বাড়িয়ে দেখিয়েছে। যেমন ১৫০ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি নৌযান মেরামতের জন্য ডকইয়ার্ডে ওঠানো-নামানোর ক্ষেত্রে মালিকপক্ষ খরচ দেখিয়েছে ২ লাখ টাকা। তবে ডকইয়ার্ডে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই ব্যয় সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা।

দেশে গত ৪ নভেম্বর ডিজেলের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়িয়ে ৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এরপরই লঞ্চমালিকেরা ভাড়া দ্বিগুণ করার দাবি করেন। গত ৭ নভেম্বর মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করে লঞ্চভাড়া ৩৫ থেকে ৪৩ শতাংশ বাড়িয়ে দেওয়া হয়, যা ৮ নভেম্বর থেকে কার্যকর হয়। এতে ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের ক্ষেত্রে ভাড়া বাড়ানো হয় বেশি হারে।

মাঠপর্যায়ে কার্যত ভাড়া বেড়েছে ৫০ শতাংশ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ২ ডিসেম্বর নৌসহ চারটি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকা–বরিশাল রুটে সাধারণ যাত্রীপ্রতি লঞ্চভাড়া ছিল ২০০ টাকা। তা এখন ৩০০ টাকা আদায় করা হচ্ছে। সদরঘাটে সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে একই চিত্র দেখা গেছে।

উল্লেখ্য, মালিকপক্ষ যাত্রীর চাপ কম দেখলে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে কম টাকা আদায় করে। যেমন ঢাকা-বরিশাল রুটে সরকার নির্ধারিত ভাড়া এখন সাধারণ টিকিটে যাত্রীপ্রতি ৩৫২ টাকা। মালিকেরা নিচ্ছেন ৩০০ টাকা। যেদিন যাত্রীর চাপ বেশি দেখা যায়, সেদিন ভাড়া ৩৫০ টাকা নেন মালিকেরা। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, কোনো অজুহাত পেলে মালিকেরা আকাশচুম্বী ভাড়ার দাবি করেন। সরকারি সংস্থা তার চেয়ে অনেক কম বাড়িয়ে বাহবা নেওয়ার চেষ্টা করেন। আসলে এরপরও লঞ্চমালিকদের অনেক লাভ থাকে। এ কারণেই সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে কম ভাড়া নিতে পারেন মালিকেরা। মুখে লোকসানের কথা বললেও তাঁরাই বছর বছর নতুন লঞ্চ নামাচ্ছেন।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক সামছুল হক প্রথম আলোকে বলেন, গণপরিবহনের ভাড়া তৃতীয় পক্ষ দিয়ে যাচাই করে নির্ধারণ করা দরকার। তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে স্বাধীনভাবে ভাড়া বাড়ানোর খাতগুলো মূল্যায়ন করা হলে সবাই আস্থা রাখবে।

যাচাই ছাড়া ভাড়া বেড়েছে

লঞ্চমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌচলাচল (যাত্রী পরিবহন) সংস্থা জ্বালানিসহ পরিচালন ব্যয় বাড়ার কারণ দেখিয়ে ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে গত ৫ নভেম্বর বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যানকে চিঠি দেয়। এর দুই দিনের মধ্যেই ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত জানায় বিআইডব্লিউটিএ।

ভাড়া বাড়ানো নিয়ে বিআইডব্লিউটিএর কমিটি বৈঠক করে গত ৭ নভেম্বর। ওই দিনের বৈঠকেই নৌযান পরিচালন ব্যয়ের তুলনামূলক বিবরণী জমা দেয় মালিকদের সংগঠন। যদিও তাদের কাছে এই বিবরণী আসে ১৯ সেপ্টেম্বর। ডিজেলের দাম বাড়ানোর আগে এই বিবরণী চাওয়ার কারণ, বিআইডব্লিউটিএ ভাড়া বাড়ানো নিয়ে আগেই কমিটি গঠন করেছিল। আট সদস্যের এই কমিটিতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, বিআইডব্লিউটিএ, নৌপরিবহন অধিদপ্তর ও পরিবহন মালিক সংগঠনের প্রতিনিধি রয়েছে। তবে যাত্রীদের কোনো প্রতিনিধি নেই।

কমিটির আহ্বায়ক ও বিআইডব্লিউটিএর সদস্য (পরিকল্পনা ও পরিচালন) মো. দেলোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, পরিচালন ব্যয়ের তালিকা মালিকদের সংগঠন বৈঠকের (৭ নভেম্বর) চার-পাঁচ দিন আগে জমা দিয়েছিল। কার্যপত্র তৈরি হয়েছে ৬ নভেম্বর। ভাড়া পুনর্নির্ধারণ নিয়ে ৭ নভেম্বরের আগে দুটি সভা হয়েছে।

গণপরিবহনের ভাড়া তৃতীয় পক্ষ দিয়ে যাচাই করে নির্ধারণ করা দরকার। তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে স্বাধীনভাবে ভাড়া বাড়ানোর খাতগুলো মূল্যায়ন করা হলে সবাই আস্থা রাখবে।
সামছুল হক, অধ্যাপক, বুয়েট

তবে ৭ নভেম্বর বিআইডব্লিউটিএ মালিক সংগঠনের সঙ্গে যে সভা করেছে, তার কার্যপত্রে দেখা গেছে, নৌযান পরিচালন ব্যয়ের তুলনামূলক বিবরণী জমা পড়েছে বৈঠকের দিনই। বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালক মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম দাবি করেন, মালিকেরা পরিচালন ব্যয়ের যে তালিকা দেন, তার ওপর ভিত্তি করেই পাঁচটি খাতের শতকরা হারে ব্যয়বৃদ্ধি হিসাব (ম্যাট্রিক্স) করা হয়। লঞ্চের ভাড়া নির্ধারণের ক্ষেত্রে জ্বালানি ব্যয় ৪৫, মেরামত ১৫, অন্যান্য ১০, মুনাফা ১২ ও বেতন-ভাতাবাবদ ১৮ শতাংশ ব্যয় দেখানো হয়।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা দাবি করছেন, মালিকদের দাবি কতটুকু যৌক্তিক, তারা যে ব্যয় বিবরণী দিয়েছে, তা বাজারদরের সঙ্গে সামঞ্জস্য পূর্ণ কি না, তা মোটেও যাচাই করা হয়নি। যাচাই করা এক দিনের মধ্যে সম্ভবও নয়। মালিকদের সংগঠন অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল (যাত্রী পরিবহন) সংস্থার সচিব মো. ছিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা যে ব্যয়ের তালিকা দিয়েছি, তা কমিটি যাচাই করে কি না, তা আমার জানা নেই। তবে সব বিষয় পর্যালোচনা করেই ভাড়া নির্ধারণ করার কথা।’

বাসের ভাড়া নির্ধারণের ক্ষেত্রে একটি বাসের দাম, ব্যাংকঋণের সুদ, মাসিক গড় কার্যদিবস, অর্থনৈতিক জীবনকাল, গড় যাত্রী পরিবহন, সব পরিচালন ব্যয়, মেরামত ইত্যাদি খাত বিবেচনায় নিয়ে ভাড়া কত হতে পারে, তা নির্ধারণ করা হয়। যদিও এ ক্ষেত্রেও মালিকেরা ব্যয় বেশি দেখিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু লঞ্চে ভাড়া বাড়ানোর ক্ষেত্রে পূর্ণাঙ্গ ব্যয় পর্যালোচনা করা হয়নি। মালিকেরা কোন কোন খাতে ব্যয় বেড়েছে, শুধু সেগুলো তুলে ধরেছিলেন। বিআইডব্লিউটিএর কমিটি ভাড়া ২৮ দশমিক ৮২ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছিল। পরে মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে বিআইডব্লিউটিএ ভাড়া আরও সাড়ে ৬ শতাংশের মতো বাড়িয়ে দেয়। আর ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের ক্ষেত্রে ভাড়া বাড়ানো হয় ৪২ দশমিক ৮৬ শতাংশ।

বিস্তর ফারাক

মালিকেরা লঞ্চে যাত্রী পরিবহনের ব্যয়ের যে বিবরণী দিয়েছেন, তাতে ১২টি শ্রেণিতে খরচ বেড়েছে বলে দেখানো হয়েছে। এর মধ্যে ৮টি শ্রেণির বিভিন্ন পণ্য ও সেবার বাজারদর যাচাই করে দেখা যায়, মালিকদের দাবির সঙ্গে প্রকৃত বাজারদরের বিস্তর ফারাক।

মালিকদের ব্যয় বিবরণীতে ১৫০ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি নৌযান মেরামতের ক্ষেত্রে ডকইয়ার্ডের প্রতি সপ্তাহের ডকিং খরচ ফুটপ্রতি ২২৫ টাকা দেখানো হয়েছে। তবে কেরানীগঞ্জের একটি বড় ডকইয়ার্ডে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই খরচ আসলে ১৪০ টাকা।

রাজধানীর নবাবপুর, ওয়াইজঘাট ও ধোলাইখালে যাত্রীবাহী লঞ্চের ইঞ্জিন ও যন্ত্রাংশ বিক্রি হয়। সেখানে দোকানমালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গিয়ার নামের একটি চীনা যন্ত্রের বল বিয়ারিং সেটের দাম ২০ হাজার টাকার মধ্যে। যদিও মালিকেরা দাবি করেছেন, এই যন্ত্রাংশের দাম ৩৫ হাজার টাকা। কাউন্টার সেফট নামের আরেকটি যন্ত্রাংশের দাম মালিকেরা দেখিয়েছেন ৭০ হাজার টাকা, যা ১৮ হাজার টাকায় পাওয়া যায় বলে জানিয়েছেন খুচরা যন্ত্রাংশের দোকানমালিকেরা।

মালিকদের ব্যয় বিবরণীতে বিভিন্ন যন্ত্রাংশের দাম দেখানো হলে খুচরা বিক্রেতারা অবাক হয়ে যায়। নবাবপুরের বড় এক যন্ত্রাংশ ব্যবসায়ী, যিনি লঞ্চমালিকদের সঙ্গে ব্যবসা থাকার কারণে নাম প্রকাশ করতে চাননি, তিনি প্রথম আলোকে বলেন, অনেক ক্ষেত্রে মালিকেরা যন্ত্রের নাম সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করেননি। ফলে কারও পক্ষে দাম যাচাই করা সম্ভব নয়। আর যেগুলো সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, সেগুলোর বাজারদর অনেক কম।

শ্রমিকের মজুরির হিসাবেও ফাঁকি

মালিকেরা শ্রমিকদের মজুরিবাবদ ব্যয় ১০৭ শতাংশ বেড়েছে বলে ব্যয় বিবরণীতে উল্লেখ করেছেন। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লঞ্চে স্থায়ী শ্রমিক একেবারেই কম। সরকার ২০১৬ সালে নতুন মজুরিকাঠামো ঘোষণা করলেও বেশির ভাগ শ্রমিক তার সুফল পাননি। বেশি মজুরি দিতে হয় বলে মালিকেরা শ্রমিকদের স্থায়ী করেন না।

ঢাকা-বরিশাল নৌরুটে চলাচলকারী যাত্রীবাহী একটি লঞ্চের সার্ভে সনদে শ্রমিকের সংখ্যা উল্লেখ করা হয়েছে ১৫। কিন্তু লঞ্চটিতে কর্মীর সংখ্যা ৪৫ জনের বেশি। আরেকটি লঞ্চের সার্ভে সনদে শ্রমিকের সংখ্যা উল্লেখ করা হয়েছে ২১, যদিও লঞ্চটিতে জনবল ৬৫ জন।

ঢাকা-ভোলা রুটের একটি লঞ্চের কেবিন বয় হিসেবে ১২ বছর ধরে কাজ করা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিক প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর বেতন মাসে তিন হাজার টাকা। তাঁর আয় মূলত যাত্রীদের দেওয়া বকশিশ। উল্লেখ্য, মজুরিকাঠামোতে কেবিন বয়ের মজুরি ধরা হয়েছে সর্বনিম্ন ৯ হাজার ৪৫০ টাকা।

প্রতিযোগিতা ঠেকাতে ‘রোটেশন’

বিআইডব্লিউটিএর সর্বশেষ হিসাবে, দেশের ২২৭টি নৌরুটে ৭৮০টি লঞ্চ চলাচল করে। লঞ্চের সংখ্যা বছর বছর বাড়ছে। মানে হলো, লঞ্চে বিনিয়োগ বাড়ছে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, লঞ্চমালিকেরা বাড়তি ভাড়া আদায়ে নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা ঠেকাতে ‘রোটেশন’ কৌশলে লঞ্চ চালান। এর মানে হলো, একটি রুটে সব লঞ্চ একসঙ্গে চলে না। একেক দিন একেক লঞ্চ চলে, যাতে একটি লঞ্চে যাত্রী অনেক বেশি পাওয়া যায়। মালিকেরাই এই ব্যবস্থা চালু করেছেন।

রোটেশন ব্যবস্থা চালু করে লঞ্চমালিকেরা একটি লঞ্চে ধারণক্ষমতার বেশি যাত্রী তোলেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। কিছু রুটে মামলা করে নতুন লঞ্চ নামানো বন্ধ করে রাখেন, যাতে একচেটিয়াভাবে লঞ্চ চালানো যায়।

যেমন ঢাকা-বরিশাল নৌপথে রুট পারমিট আছে ১৭টি লঞ্চের। মানে হলো, দিনে অন্তত ৮টি করে লঞ্চ ঢাকা ও বরিশাল থেকে ছাড়বে। কিন্তু দিনে একেক প্রান্ত থেকে ছয়টি অথবা সাতটি করে লঞ্চ চলাচল করে। যাত্রীর চাপ বেশি থাকলে লঞ্চের সংখ্যা বাড়ানো হয়। একই ভাবে ঢাকা–ভোলা নৌপথে ছয়টি লঞ্চের সময়সূচি নেওয়া থাকলেও উভয় প্রান্ত থেকে সাধারণত দুটি করে লঞ্চ চলাচল করে। এ ক্ষেত্রে লঞ্চমালিকদের বক্তব্য, যাত্রীসংখ্যা কম হওয়ায় সব লঞ্চ একসঙ্গে চলাচল করানো যায় না। তবে যাত্রীদের অভিযোগ, ইচ্ছে করে লঞ্চ সংখ্যায় কম চালানো হয় বলে চাহিদামতো কেবিন পাওয়া যায় না। ডেকে যাত্রীরা গাদাগাদি করে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। অনেক ক্ষেত্রেই কেবিনের সামনে হাঁটার জায়গাটুকুও যাত্রীতে ভরা থাকে। প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করলেই ভাড়া কমবে।

সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) বরিশাল নগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, যাত্রীদের ভোগান্তি লাঘবে অবশ্যই এই রোটেশনের সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। কারণ, এই পথে কেবিন যেন সোনার হরিণ। লঞ্চগুলোর ডেকে যাত্রীতে ঠাসা থাকে।

[প্রতিবেদনটি তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন এম জসীম উদ্দিন, বরিশাল]