শিক্ষকের অব্যাহতি প্রত্যাহার, রেজিস্ট্রার ছুটিতে
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. শাহুল আফজালকে দীর্ঘ মেয়াদে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। কাল রোববার থেকে এই ছুটি কার্যকর হবে। আর শিক্ষককে লাঞ্ছনার অভিযোগে অভিযুক্ত সহকারী রেজিস্ট্রার মো. মাহিউদ্দিন ও জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জাভেদ রাসেল পদত্যাগ করেছেন এবং তা উপাচার্য গ্রহণ করেছেন। শিক্ষক ফারহান উদ্দিন আহমেদের অব্যাহতি প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ ছাড়া নিরাপত্তাকর্মীদের হাতে ছাত্রীর লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগটি আমলে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এ-সংক্রান্ত কমিটি তদন্ত শুরু করেছে।
চুক্তিতে থাকা আইন বিভাগের শিক্ষক ফারহান উদ্দিন আহমেদকে চাকরিচ্যুতির নোটিশের জের ধরে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের এক সপ্তাহের মাথায় আজ শনিবার এসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিকেলে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এসব সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। পূর্বঘোষিত সূচি অনুযায়ী কাল রোববার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্লাস ও পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
শিক্ষার্থীরা ঘোষণা দিয়েছিলেন বর্তমান রেজিস্ট্রার শাহুল আফজালের অধীনে তাঁরা কোনো ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নেবেন না। এ ছাড়া শিক্ষক ফারহান উদ্দিন আহমেদকে চাকরিতে পুনর্বহাল ও তাঁকে ‘লাঞ্ছিতকারী’ হিসেবে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুতি, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তির বিচার করতে হবে। এসব দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের জের ধরে আজও একটি বিভাগের পরীক্ষা হয়নি। দুপুরে মহাখালীতে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গিয়ে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীরা বাইরে এদিক-সেদিক অবস্থান করছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নতুন এই সিদ্ধান্তের পর অবস্থান জানতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁদের একজন প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা খুব দ্রুত আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানাবেন।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে আসছেন, চুক্তিতে থাকা শিক্ষক ফারহান উদ্দিন আহমেদকে গত ৩০ জুলাই মানবসম্পদ বিভাগ থেকে চাকরিচ্যুতির নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি তা নিতে অস্বীকৃতি জানালে রেজিস্ট্রার বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা তাঁর আইডি কার্ড নিয়ে নেন এবং তাঁকে লাঞ্ছিত করেন। এরপর থেকেই মহাখালীতে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রধান ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন।