শিশুর মুখে সুস্থতার হাসিতেই তাদের প্রশান্তি
প্রতিটি শিশুই মা-বাবার কাছে জগতের অন্য সবকিছুর চেয়ে মূল্যবান। তাই সুষ্ঠুভাবে সন্তানের লালন-পালনে তাঁদের চেষ্টার কমতি থাকে না মোটেও। শিশুসন্তানকে ঘিরে থাকা নানান স্বপ্ন মাঝেমধ্যে অনিশ্চয়তার আঁধারে ছেয়ে যায়, যখন সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তখন যেকোনো কিছুর বিনিময়ে সন্তানের সুস্থতাই হয়ে ওঠে মুখ্য। এ রকম দুশ্চিন্তাগ্রস্ত সময়ে নির্ভরতার প্রতীক হয়ে পাশে দাঁড়ান চিকিৎসক অনিমা ফেরদৌসের মতো শিশুরোগ বিশেষজ্ঞরা।
‘রোগী যখন সুস্থ হয়ে যায়, তখন ডাক্তার হিসেবে আমাদের যে ভালো লাগা, সেটা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। যখন কোনো অসুস্থ শিশুর চিকিৎসা শেষে শিশুটি সুস্থ হয়ে বাসায় ফেরে, মা–বাবার কোলে ওঠে,Ñঅদ্ভুত প্রশান্তি আর ভালো লাগায় মন ভরে যায় আমাদের।’ এভাবেই নিজের দায়িত্ব আর কাজের তৃপ্তির কথা জানালেন ঢাকার ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ড. অনিমা ফেরদৌস।
নিজের অর্জিত জ্ঞান, অভিজ্ঞতা আর আন্তরিকতার মাধ্যমে তাঁরা সারিয়ে তোলেন ছোট্ট সোনামণিকে। শারীরিক সুস্থতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি শিশুর সঠিক মানসিক বিকাশেও রাখেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। তাঁদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় সুস্থতার হাসি ফোটে কোটি শিশুর মুখে। স্বস্তির হাসিতে উদ্ভাসিত হয় মা-বাবাসহ পুরো পরিবার।
চিকিৎসক অনিমা ফেরদৌস জানান, ‘সাদা কাপড় বা আমাদের যে সাদা অ্যাপ্রন,Ñএটা আসলে বৈশ্বিকভাবে গ্রহণযোগ্য একটি পোশাক। এর পেছনে অনেকগুলো কারণও আছে। প্রধান কারণটি হলো, সাদা রং বিশুদ্ধতার প্রতীক। প্রতিদিন পরিচ্ছন্ন সাদা পোশাক পরলে মন থাকে সতেজ ও শুভ্র।’
শিশুদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতায় নিবেদিতপ্রাণ এই সুপারহিরোরা নিজেদের সাদা কাপড় শুভ্র ও সতেজ রাখেন কীভাবে? চিকিৎসক অনিমা ফেরদৌস বলেন, ‘সাদা কাপড়ে কোনো ধরনের দাগ বা ময়লা কখনোই কাম্য নয়। কোভিড মহামারি চলাকালে সামগ্রিকভাবে আমাদের অনেক অভ্যাসের পরিবর্তন হয়েছে। পরিধেয় পোশাকের সঙ্গে আমাদের সাদা অ্যাপ্রনটা পরিষ্কার করার জন্য ডিটারজেন্ট দিয়ে ভিজিয়ে রেখে তারপর ধুয়ে ফেলতাম।’
শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় যাঁরা আস্থার আলো হয়ে সব সময় থাকেন আমাদের পাশে, সেই ‘সাদা কাপড়ের সুপারহিরো’দের প্রতি রইল আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। সশ্রদ্ধ ধন্যবাদ।