সড়কের পাশে পশুর হাটে কেসিসির আপত্তি

খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের খুলনা নগরের জিরোপয়েন্টের পাশে পশুর হাট স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে খুলনা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ। এখানে হাট চালু করলে সড়কে যানজটের সৃষ্টি হবে ও যাত্রীরা ভোগান্তি পোহাবে। এ কারণে এ বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে চিঠি দিয়েছে খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি)।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৫ আগস্ট জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার সরদার মাহবুবার রহমান জিরোপয়েন্ট এলাকায় পশুর হাট স্থাপনের অনুমতি চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেন। এতে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করার জন্য হাটটি পরিচালনা করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় ও বটিয়াঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাট বসানোর পক্ষে মতামত দিয়েছেন।
জিরোপয়েন্ট এলাকার একাধিক বাসিন্দা জানান, সরকারের শেষ সময়ে এসে মুক্তিযোদ্ধার নাম দিয়ে মূলত যুবলীগের স্থানীয় কয়েকজন নেতা-কর্মী হাটটি স্থাপন করছেন। এ ছাড়া এখানে হাট হলে সড়কে যানজটের সৃষ্টি হবে।
কেসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তপন কুমার ঘোষ জানান, ১৯ সেপ্টেম্বর তিনি কেসিসির পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসককে হাট বসানোর বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন। চিঠির সঙ্গে মহাসড়কের পাশে হাট ইজারা না দেওয়ার ব্যাপারে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা সংযুক্ত করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে, মহাসড়কের পাশে হাট বসানো যাবে না।
মাহবুবার রহমান জানান, অসহায় মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করতে পশুর হাট স্থাপনের আবেদন করা হয়েছে। বিষয়টি এখন প্রক্রিয়াধীন আছে। তিনি দাবি করেন, হাটটির নিয়ন্ত্রণ যুবলীগ নিতে পারবে না। আর তারা (যুবলীগ) হাটটি স্থাপন করতে চাইলে নিজেদের প্যাডেই আবেদন করত।
মেয়র মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘জিরোপয়েন্টকে বলা হয় খুলনার প্রবেশদ্বার। সেখানে একটি হাট বসালে প্রচণ্ড যানজটের সৃষ্টি হবে। তা ছাড়া আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হবে। ক্রেতা ও বিক্রেতা নিরাপত্তা পাবেন না। এ কারণে আমি জেলা প্রশাসককে কোনো বিশেষ মহলকে সুবিধা দেওয়ার জন্য মহাসড়কের পাশে হাট বসানোর অনুমতি না দিতে অনুরোধ জানাচ্ছি।’
জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন জানান, জিরোপয়েন্টে মহাসড়কের পাশে হাট বসানোর বিষয়ে পুলিশ প্রশাসন ও ইউএনওর মতামত পাওয়া গেছে। এখন বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। কেসিসির চিঠি পাওয়া গেছে।