বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি বিকৃত করার অভিযোগে চট্টগ্রামের সাংসদ এম এ লতিফের বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দায়ের করা দুই মামলার একটিতে তাঁর বিরুদ্ধে এক হাজার কোটি টাকার মানহানির অভিযোগ আনা হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, হাজার কোটি টাকার মানহানির অভিযোগে সাংসদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মোহাম্মদ ফরিদ আলমের আদালতে মামলাটি করেছেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য সাইফুদ্দীন আহমেদ। আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার বা তাঁর ওপরের পদমর্যাদার কর্মকর্তা দিয়ে ঘটনাটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
বাদীর আইনজীবী মোসলেউদ্দীন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ২০০ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ করে এডিসি বা তাঁর ওপরের কর্মকর্তা দিয়ে তদন্তের আদেশ দেন বিজ্ঞ আদালত।
গতকাল দুপুরে অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম নুরুল আলম মো. নিপুর আদালতে অপর মামলাটি করেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক উপ-পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক আবদুর রহিম। সাংসদ লতিফের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চেয়ে শুনানি হলেও হাকিম কোনো আদেশ দেননি।
গত শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চট্টগ্রাম সফরকে উপলক্ষ করে চট্টগ্রাম-১১ আসনের (বন্দর, হালিশহর ও পতেঙ্গা) আওয়ামী লীগের সাংসদ লতিফ নগরের আগ্রাবাদ ও বিমানবন্দর সড়কে অসংখ্য ফেস্টুন লাগানোর ব্যবস্থা করেন। এসব ফেস্টুনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ব্যবহার করা হয়। তবে আওয়ামী লীগের নেতারা অভিযোগ করেন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মুখমণ্ডল তাঁর হলেও শরীর তাঁর নয়। কম্পিউটারে কারসাজির মাধ্যমে ছবিতে অন্য কারও শরীরে বঙ্গবন্ধুর মুখমণ্ডল ব্যবহার করা হয়েছে। এ নিয়ে চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বিবৃতি: সাংসদ এম এ লতিফকে ‘সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয় করার ষড়যন্ত্রের’ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের মাঝারি সারির কয়েকজন নেতাসহ ২৯ জন। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে নাম আছে জাতীয় শ্রমিক লীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. শফর আলী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ প্রমুখ। তবে নোমান আল মাহমুদ গতকাল সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, এ বিবৃতির বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।