সাকা-মুজাহিদের সঙ্গে দেখা করেছেন স্বজনেরা
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসির দণ্ড পাওয়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী ও জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের সঙ্গে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে দেখা করেছেন তাঁদের পরিবারের সদস্যরা। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কারা কর্তৃপক্ষ এই সাক্ষাতের ব্যবস্থা করে। সাকা ও মুজাহিদকে কেন্দ্রীয় কারাগারের কনডেমড সেলে রাখা হয়েছে।
সাকা চৌধুরীর স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে ও ভাই-বোনসহ ১৫ জন আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যান। সাক্ষাৎ শেষে বেলা দেড়টার দিকে ছয়টি গাড়িতে করে তড়িঘড়ি বের হয়ে আসেন সাকার পরিবারের সদস্যরা। তাঁরা কেউ গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেননি।
কারাগারে দেখা করতে যাওয়া এই ১৫ জন সদস্য হলেন সাকা চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী, বড় ছেলে ফজলুল কাদের চৌধুরী ফাইয়াজ ও তাঁর স্ত্রী দানিয়া আহমেদ, ছোট ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী, মেয়ে ফারজিন কাদের চৌধুরী ও তাঁর স্বামী জাফর খান, সাকার ভাই গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামালউদ্দিন কাদের চৌধুরী, ভাবি সেলিনা চৌধুরী ও মাহবুবা চৌধুরী, ভাতিজা ওমর আহমেদ আদেল ও শাকিল কাদের চৌধুরী, দুই বোন জুবাইদা মনোয়ার ও হাসিনা কাদের এবং কাজিন ইকবাল হোসেন।
বাবার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে কারাগার থেকে বেরিয়ে মুজাহিদের ছেলে আলী আহমেদ মাবরুর সাংবাদিকদের বলেন, তাঁর বাবা সুস্থ আছেন। আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করে তিনি (মুজাহিদ) রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করবেন। কিন্তু সেটা প্রাণভিক্ষার আবেদন নয়। কী বিষয়ে আবেদন করবেন—এমন প্রশ্নের জবাবে মাবরুর বলেন, তাঁর বাবা এ ব্যাপারে স্পষ্ট কিছু বলেননি। আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করেই তিনি (মুজাহিদ) সেটা করবেন।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা একটা ৫০ মিনিটে মুজাহিদের পরিবারের সদস্যরা কারাগারে প্রবেশ করেন। প্রায় আধঘণ্টা সাক্ষাৎ শেষে তাঁরা বেরিয়ে আসেন। মুজাহিদের ছেলে আলী আহমেদ মাবরুরসহ মোট ১২ জন স্বজন তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। পরিবারের পক্ষ থেকে ওই ১২ জনেরই দেখা করার জন্য কারা কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছিল মুজাহিদের পরিবার।