মুঠোফোনে কথা বলছিলেন গৃহবধূ ফরিদুন নেছা (৩২)। হঠাৎ ‘উফ’ শব্দ করে পায়ের কাছে হাত নিয়ে দেখলেন ক্ষত। ঘরের মেঝের দিকে তাকাতেই দেখা গেল ফণা তোলা এক সাপ। পরিবারের সদস্যরা সাপটিকে না মেরে কৌশলে চটের বস্তায় বন্দী করে রেখে ফরিদুনকে নিয়ে ছুটলেন হাসপাতালে। ঘণ্টাখানেক পর ফরিদুন মারা গেলেন।

সিলেট শহরতলির খাদিমপাড়া এলাকার পলিয়া মাঝেরগাঁও গ্রামে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার ঘটনা এটি। এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় সাপ-আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুরে ওই এলাকায় গেলে গ্রামের মসজিদের পাশের রাস্তায় লাঠিসোঁটা নিয়ে সাপ মারতে উদ্যত একদল লোককে দেখা গেল। কয়েকজন এলাকাবাসী প্রায় ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় পিটিয়ে একটি সাপ মারেন।

ফরিদুন নেছার স্বামী সোহেল আহমদ আমেরিকাপ্রবাসী। তাঁদের পাঁচ বছর বয়সী এক কন্যাসন্তান আছে। তাঁদের বাড়িসহ আশপাশের বাড়িতেও শোকের সঙ্গে এক ধরনের সাপ-আতঙ্ক ভর করেছে।

জানতে চাইলে সিলেট জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন, বন্যার পানি কমলে এ রকম কিছু উপদ্রব বাড়ে। এ উপদ্রব থেকে রক্ষা পেতে কার্বলিক অ্যাসিড সংগ্রহ করে বসতঘরে রাখতে হবে। কারণ, সাপ কার্বলিক অ্যাসিডের গন্ধ সহ্য করতে পারে না। এ জন্য যেখানে এ গন্ধ থাকবে, সেখানে সাপ থাকবে না। তিনি এলাকাবাসীকে এ পদ্ধতি গ্রহণ করার পরামর্শ দেন।