সামাজিক বনায়নের দেড় হাজার গাছের মাথা কর্তন

কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার তারাপাইয়া গ্রামের সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির কয়েক শ গাছের মাথা বিদ্যুৎ​ বিভাগের কর্মীরা কেটে ফেলেছেন। সম্প্রতি তোলা ছবি l প্রথম আলো
কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার তারাপাইয়া গ্রামের সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির কয়েক শ গাছের মাথা বিদ্যুৎ​ বিভাগের কর্মীরা কেটে ফেলেছেন। সম্প্রতি তোলা ছবি l প্রথম আলো

বিদ্যুতের তার গাছের সঙ্গে লেগে থাকার কারণে কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার তারাপাইয়া ও গাজিরপাড় গ্রামে সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির আওতায় রোপণ করা ১ হাজার ৪৩০টি গাছের মাথা কেটে ফেলা হয়েছে। কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৪ এ কাজ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলা সামাজিক বন কর্মকর্তা আলী নেওয়াজ বলেন, সামাজিক বন বিভাগের অনুমোদন না নিয়েই গাছগুলোর মাথা কাটা হয়েছে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ (ইউএনও) ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি হয়েছে।
কুমিল্লা সামাজিক বন বিভাগের কোটবাড়ী রেঞ্জ কর্মকর্তা আবদুল কাদের ভূঁইয়া বলেন, ‘অবৈধভাবে বনায়নের গাছ কাটায় আমরা পল্লী বিদ্যুতের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করব।’
সামাজিক বনায়নের উপকারভোগী সদস্য জাহাঙ্গীর আলম, আবুল হোসেন ও আবদুর রহিম বলেন, ‘২০১২-১৩ অর্থবছরে তারাপাইয়া ও গাজিরপাড় গ্রামের চার কিলোমিটার সড়কে বনায়ন করা হয়। সড়কে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় চার হাজার গাছের চারা রোপণ করা হয়। গত ডিসেম্বরে কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৪ মুজিবনগর গ্রামে বিদ্যুৎ দেয়। ওই গ্রামের বিদ্যুতের লাইন তারাপাইয়া ও গাজিরপাড় এলাকা দিয়ে যায়। ওই বিদ্যুতের তার সামাজিক বনায়ন গাছের সঙ্গে লেগে ছিল। ১২ জানুয়ারি থেকে ওই এলাকার আড়াই কিলোমিটার সড়কের শিশু, একাশিয়া, মেহগনি ও কড়ইসহ বিভিন্ন প্রজাতির ১ হাজার ৪৩০টি গাছ কাটা হয়। বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন ও বন বিভাগ আমাদের না জানিয়েই এ কাজ করেছে। এতে আমাদের অনেক টাকা ক্ষতি হয়েছে। এর ক্ষতিপূরণ চাই।’
কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৪-এর উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) খান মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন বলেন, উপজেলা বন বিভাগের লিখিত অভিযোগ পেলে এ ব্যাপারে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।