টার্মিনালে বাসের অপেক্ষায় ছিলেন ফারহান আহমেদ। তিনি বলেন, মাদারীপুরে যাওয়ার জন্য আগেই তিনি পরিবহনের টিকিট করেছেন। সকাল ৯টায় বাস ছাড়ার কথা থাকলেও বেলা ১১টা পর্যন্ত বাস টার্মিনালে আসেন। অগ্রিম টিকিট তিনি ৩৫০ টাকায় কিনলেও এখন প্রতিটি টিকিটের দাম ৫০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
অন্য রুটের বাসগুলোও নির্ধারিত সময়ের চেয়ে দেরিতে ছাড়ছে।
জোনাকি পরিবহনের মালিক মো. সোলায়মান প্রথম আলোকে বলেন, অতিরিক্ত যাত্রীর পাশাপাশি মদনপুর মেঘনাসহ বিভিন্ন জায়গায় যানজটে দীর্ঘ সময় আটকে থাকছে বাস। এতে বাস ছাড়তে দেরি হচ্ছে।
সায়দাবাদ আন্তজেলা বাস টার্মিনাল থেকে বরিশাল, সিলেট, চট্টগ্রাম, সুনামগঞ্জ, কুমিল্লা, নোয়াখালীসহ বিভিন্ন রুটে চলা প্রায় সব পরিবহনেই স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েও যাত্রীদের টিকিটের জন্য হুড়োহুড়ি করতে দেখা গেছে।
বেলা পৌনে ১১টার দিকে টার্মিনালে আসে ঢাকা কোম্পানীগঞ্জ নবীনগর রুটের তিশা গোল্ডেন পরিবহন। এ সময় টিকিটের জন্য হুড়োহুড়ি শুরু করে যাত্রীরা। ২০০ টাকার টিকিট তারা ৫০০ টাকায় কেনে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের ঈগল পরিবহনের যাত্রী দীপায়ন বড়ুয়া বলেন, ৬২০ টাকার টিকিট তিনি ৭০০ টাকা কিনেছেন। সাড়ে ৯টার এ বাস সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে ছাড়তে দেখা গেছে। একই রুটের সিডিএম পরিবহনের ভাড়াও ৮০ টাকা বেশি নেওয়া হয়েছে।
সিডিএম পরিবহনের সহকারী মো. বাবুল জানান, ঈদ উপলক্ষে একমুখী যাত্রীর চাপ বেশি, ঢাকায় ফেরার পথে যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না। তাই ভাড়া কিছুটা বাড়ানো হয়েছে।
টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি ভাড়া বেড়েছে ঢাকা-বরিশাল রুটে। ঈদ উপলক্ষে ৪০০ টাকার ভাড়া ১ হাজার টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে।
যাত্রী ভোগান্তি কমানো ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে টার্মিনালে দায়িত্ব পালন করছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের একটি দল। দলের সদস্য ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের সহকারী পরিচালক মো. মুসা প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, ঢাকায় ঢোকার মুখে পোস্তগোলা ও ধোলাইপাড় এলাকায় তীব্র যানজটের কারণে যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়ছে। অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে আজ তাঁরা একটি অভিযোগ পেয়েছিলেন, সেটিও নিষ্পত্তি করেছেন।