সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ দুই দেশের বৈঠক

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে বিএসএফের বাধায় বন্ধ হয়ে যাওয়া ধলাই প্রতিরক্ষা বাঁধের উন্নয়নকাজ চালু করা নিয়ে কোনো মীমাংসায় পৌঁছানো গেল না। দুই মাস চেষ্টার পর এ-সংক্রান্ত বিজিবি-বিএসএফ ও দুদেশের পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের বৈঠক কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত কমলগঞ্জ উপজেলার ত্রিপুরা সীমান্তবর্তী ন্যাশনাল টি কোম্পানির মালিকানাধীন চাম্পারায় চা-বাগানে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ শ্রীমঙ্গল ৪৬ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ধলাই নদ ভারতের ত্রিপুরার কমলপুর থেকে কমলগঞ্জের ইসলামপুর ইউনিয়নের মখাবিল এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। প্রতিবছর খরস্রোতা নদটির ভাঙনে এর প্রতিরক্ষা বাঁধ সরু হয়ে যাচ্ছে। এতে কমলগঞ্জের তিনটি গ্রামের পাঁচ হাজার মানুষ হুমকিতে পড়ে আছেন। বন্যায় গ্রামগুলো তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থায় বাঁধটি রক্ষায় মখাবিলে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড। কিন্তু ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ ও দেশটির পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাধায় এ কাজ বন্ধ রয়েছে।
৪৬ বিজিবি ব্যাটালিয়ন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাসির উদ্দীন বলেন, বর্ষার আগেই মখাবিলে বাঁধের কাজ শেষ করতে দুই দেশের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠানে দুই মাস ধরে চেষ্টা চলছিল। পরে গতকাল বিএসএফ ২৭ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক গুর পাল সিং ও ত্রিপুরার পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী তপন কুমার লোতের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের বৈঠক বসে। কিন্তু টানা চার ঘণ্টার বৈঠকেও উন্নয়নকাজে আপত্তি প্রত্যাহার করেননি ভারতের প্রতিনিধিরা।
ত্রিপুরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী তপন কুমার লোত এই প্রতিনিধিকে বলেন, এটি সমাধান করতে আরও কিছু বিষয়ে সমাধান করতে হবে। এ জন্য ভবিষ্যতে বড় আকারের বৈঠকের উদ্যোগ নিতে হবে।
বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন ৪৬ বিজিবি ব্যাটালিয়ন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাসির উদ্দীন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী আবদুল হাই।