জাতীয় বেতন স্কেলে সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল পুনর্বহাল এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) ‘কর্তৃত্ব’ বাড়ানোর আদেশ সংশোধনের দাবিতে মানববন্ধন করেছে প্রকৃচি-বিসিএস সমন্বয় কমিটি।
গতকাল বুধবার ঢাকাসহ সারা দেশে প্রকৌশলী, কৃষিবিদ, চিকিৎসকসহ ২৬টি ক্যাডার কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত এই কমিটির ডাকে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
কেন্দ্রীয়ভাবে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দুপুর ১২টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত এই কর্মসূচি পালিত হয়। বিসিএস সমন্বয় কমিটির নেতা স ম গোলাম কিবরিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকার পাশাপাশি উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়েও এই কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
প্রকৃচি-বিসিএস সমন্বয় কমিটির নেতারা বলেছেন, ১৪ অক্টোবর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ উপজেলা পরিষদের ক্ষমতায়নের নামে একটি অফিস স্মারক জারি করে। এর মাধ্যমে উপজেলা পর্যায়ের অন্যান্য (সেলফড্রয়িং) কর্মকর্তার মর্যাদা হরণ করা হয়েছে, যা সরকারের বিদ্যমান বিধির পরিপন্থী। এর মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে একক কর্তৃত্ব দেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত উপজেলা পর্যায়ে উন্নয়ন কর্মসূচিকে আমলাতান্ত্রিক বেড়াজালে ফেলবে। তাঁরা এটিকে ‘ঔপনিবেশিক ব্যবস্থা’র সঙ্গে তুলনা করেন।
মানববন্ধন থেকে সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল পুনর্বহালের দাবি জানানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন প্রকৃচি-বিসিএস সমন্বয় কমিটির নেতা মাহমুদ হাসান, কবীর আহমেদ ভূইয়া, মোবারক আলী, ইকবাল আর্সলান, ফিরোজ খান প্রমুখ।
এদিকে বেতন-ভাতাসহ আনুষঙ্গিক ব্যয়ের হিসাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) স্বাক্ষরের ব্যবস্থার বিষয়টি নিয়ে ‘ভুল-বোঝাবুঝি’ হচ্ছে বলে দাবি করেছেন প্রশাসন ক্যাডারের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা। তাঁরা বলেন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা স্মারকের ১০(ঙ) ধারায় বলা হয়েছে, উপজেলা পরিষদের সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় দপ্তর প্রধানেরা তাঁদের আওতাধীন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতার বিল প্রচলিত পদ্ধতিতে ও ফরমে উপজেলা পরিষদের হিসাবরক্ষণ অফিসে দাখিল করবেন। এর মানে বেতন-ভাতার বিলে দপ্তর প্রধানেরাই সই করবেন। তবে মূল হিসাবটি চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার যৌথ স্বাক্ষরে পরিচালিত হবে।