তেল-গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্যসচিব আনু মুহাম্মদ বলেছেন, সুন্দরবনে বিদ্যুৎকেন্দ্র হলে ৩৫ লাখ মানুষ জীবিকা হারিয়ে উদ্বাস্তুতে পরিণত হবে। দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের জেলাগুলো চার কোটি মানুষ প্রাকৃতিক দুর্যোগের হুমকিতে পড়বে।
রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে আজ সোমবার বিকেলে এক পদযাত্রাপূর্ব সমাবেশে আনু মুহাম্মদ এসব কথা বলেন। ২৬ নভেম্বর ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জাতীয় কমিটির মহাসমাবেশ সফল করতে ঢাকা মহানগর কমিটি এ সমাবেশের আয়োজন করে।
আনু মুহাম্মদ বলেন, রাজধানীসহ সারা দেশে অনেক উদ্বাস্তু আছে। বিভিন্ন জায়গায় উন্নয়ন প্রকল্পের নামে, জমি দখলের নামে অনেক উদ্বাস্তু এখন ঢাকায় থাকেন। আর এই সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে যাবে, যদি রামপাল প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। এ অবস্থা পরিবর্তনের জন্য সম্মিলিতভাবে, ঐক্যবদ্ধভাবে সর্বজনের দাবি হিসেবে সুন্দরবনের রামপাল প্রকল্প বন্ধের দাবি সামনে আনতে হবে। তিনি আরও বলেন, সুন্দরবনকে ধ্বংস করে কোনো উন্নয়ন প্রকল্প হতে পারে না। যে প্রকল্প সুন্দরবনের অস্তিত্ব হুমকির মুখে ফেলে দেয়, দেশকে বিপন্ন করে, তা কখনোই উন্নয়ন প্রকল্প নয়। সুন্দরবনের অস্তিত্ব মানে বাংলাদেশের অস্তিত্ব। সুন্দরবন না থাকা মানে বাংলাদেশ অরক্ষিত হয়ে যাওয়া। যা দেশকে বিপন্ন করে, তা উন্নয়ন প্রকল্প নয়।
সরকারদলীয় সমর্থক, বুদ্ধিজীবী, দল ও সংগঠনের উদ্দেশে সুন্দরবনবিরোধী প্রকল্পের শামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে অর্থনীতির এই অধ্যাপক বলেন, ‘আপনার যদি সরকারের শুভাকাঙ্ক্ষী হন, আপনাদেরও উচিত আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়ে কিংবা আলাদা করে মানববন্ধন বা সমাবেশ করে সরকারকে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধে চাপ দেওয়া।’
২৪ নভেম্বর দেশের সাতটি প্রান্ত থেকে রামপাল প্রকল্পসহ সুন্দরবনবিনাশী প্রকল্প বন্ধ এবং কমিটির সাত দফা বাস্তবায়নের দাবিতে তেল-গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি ঢাকা অভিমুখে ‘চলো চলো ঢাকা চলো’ যাত্রা করবে।
সমাবেশে জাতীয় কমিটির বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশ শেষে একটি পদযাত্রা বের করা হয়। পদযাত্রা থেকে ২৬ নভেম্বরের মহাসমাবেশ সফল করতে লিফলেট বিতরণ করা হয়।