কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের সৌন্দর্যে মুগ্ধ বাংলাদেশে আসা কয়েকটি দেশের পর্যটনমন্ত্রী ও কর্মকর্তারা। গতকাল বুধবার কক্সবাজার সফরে এসে তাঁরা এই মুগ্ধতার কথা জানান।
গতকাল বিকেলে বাংলাদেশসহ আটটি দেশ এবং জাতিসংঘের একটি সংস্থার ১৭ জন প্রতিনিধি ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে কক্সবাজার বিমানবন্দরে আসেন। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেননসহ তাঁরা সেখান থেকে সৈকতের লাবণী পয়েন্টে যান। কক্সবাজার-২ আসনের সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক, জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন ও পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথ তাঁদের স্বাগত জানান।
প্রতিনিধিদলের সদস্যদের মধ্যে আছেন জাতিসংঘের বিশ্ব পর্যটন সংস্থার (ইউএনডব্লিউটিও) মহাসচিব তালেব রাফাই, আফগানিস্তানের পর্যটনমন্ত্রী আবদুল বারী জাহিনী, ভুটানের পর্যটনমন্ত্রী লেউনফু নরবো ওয়াংচুক, কম্বোডিয়ার পর্যটন উপমন্ত্রী টপ সু পেক, চীনের জাতীয় পর্যটন কার্যালয়ের পরিচালক লি কুয়ানগো, ভারতের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের আঞ্চলিক পরিচালক (এনই) শেরাভাট সঞ্জয়, ভিয়েতনামের পর্যটন করপোরেশনের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ট্রান ডিন থান, বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত হরি কুমার শ্রেষ্ঠা, আফগানিস্তানের রাষ্ট্রদূত আবদুর রহিম ওরাজ ও ভুটানের রাষ্ট্রদূত পেমা চোডেন।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত বৌদ্ধ ঐতিহ্য ও পর্যটন-বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিতে তাঁরা বাংলাদেশে এসেছেন।
সৈকত ভ্রমণের সময় পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব খুরশেদ আলম চৌধুরী টেকনাফের সাবরাং সৈকতে বিদেশিদের জন্য বিশেষ পর্যটনপল্লি নির্মাণসহ সরকারের নানা পরিকল্পনার কথা প্রতিনিধিদলের সদস্যদের সামনে তুলে ধরেন।
তালেব রাফাই সাংবাদিকদের বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সৈকত ভ্রমণের সুযোগ হয়েছে তাঁর। কিন্তু কক্সবাজারের মতো এতে পরিচ্ছন্ন সৈকত তিনি কোথাও দেখেননি। তিনি বলেন, বিশ্বের দীর্ঘতম এই সৈকতকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের পর্যটনকে অনেক দূর এগিয়ে নেওয়া সম্ভব।
পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে থাকা ঐতিহ্যবাহী বৌদ্ধ স্থাপনাগুলো পর্যটনের উন্নয়নে কাজে লাগানো হবে।
রাতে কক্সবাজার শহরের একটি হোটেলে জেলা প্রশাসন আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেন অতিথিরা। অনুষ্ঠানে গান ও নৃত্য পরিবেশন করেন রাখাইন, চাকমা, মারমা, বম, ত্রিপুরা, ম্রোসহ বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর সদস্যরা।
জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন বলেন, এই সফর কক্সবাজারের পর্যটনশিল্পকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নেবে। বিশ্বে কক্সবাজার ও কক্সবাজারের সমুদ্রসৈকত আরও পরিচিতি পাবে।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, আজ বৃহস্পতিবার সকালে প্রতিনিধিদলটি রামুর বৌদ্ধপল্লি পরিদর্শন করবে। সেখান থেকে আবার কক্সবাজার শহরে ফিরে এসে হেলিকপ্টারযোগে সুন্দরবন যাবে।