সোনার মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষক: প্রধানমন্ত্রী

শিক্ষকদের সোনার মানুষ গড়ার কারিগর বলে অভিহিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার জন্য সোনার মানুষ দরকার। সেই সোনার মানুষ গড়ার কারিগর হচ্ছেন শিক্ষকেরা।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
শিক্ষকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষকতা হচ্ছে একটা মহান পেশা। আমরা সব সময় শিক্ষাকে মর্যাদা দিই, শিক্ষকদের মর্যাদা দিই। এখনো আমি আমার শিক্ষকদের পেলে সম্মানের সঙ্গে তাঁদের মর্যাদা দিই। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার জন্য সোনার মানুষ দরকার। সেই সোনার মানুষ গড়ার কারিগর হচ্ছেন শিক্ষকেরা। কাজেই প্রত্যেকটা ছেলেমেয়েকে দেশপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করা; মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানানো এবং ন্যায়-নীতিবান ও আদর্শ নিয়ে মানুষ হওয়া; সেই চর্চা যেন তাদের মধ্যে থাকে, সে ব্যাপারে আপনাদের নজর দিতে হবে। আমরা চাই আমাদের ছেলেমেয়েরা সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠুক। ছেলেমেয়েরা যেন বিভ্রান্তির পথে না যায়। আজকে যেমন মাদকাসক্তি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যেন জড়িত না হয়।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইসলাম ধর্মের নামে কোনো ধরনের সন্ত্রাসী বা জঙ্গিবাদী কার্যক্রম কারও কাছেই গ্রহণযোগ্য না। আমাদের ছেলেমেয়েরা যেন এগুলো দূরে থাকে। তাদের কেউ যেন বিভ্রান্ত করতে না পারে। প্রত্যেকটা স্কুল, কলেজ, মসজিদ-মাদ্রাসায় এই শিক্ষা দেওয়া উচিত যে, এ ধরনের বিভ্রান্তিমূলক কর্মকাণ্ডে কেউ যেন লিপ্ত না হয়। আর আমরা সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদে বিশ্বাস করি না। আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি। বাংলাদেশকে আমরা দক্ষিণ এশিয়ার শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। কারণ বাংলাদেশ যেন উন্নত, সমৃদ্ধ দেশ হয়। সেই দেশকে যারা নেতৃত্ব দেবে, তারা তো আজকের শিশু। তারাই তো আগামী দিনের ভবিষ্যৎ।’ ছোটবেলা থেকেই তাদের সেভাবে গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।
কক্সবাজারে লিডারশিপ ট্রেনিং সেন্টার করা হচ্ছে—উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, লিডারশিপ ট্রেনিংটা ছোটবেলা থেকেই দেওয়া হচ্ছে। আজকের ছোট ছোট শিশু, তারাই একদিন বড় হবে। তারাই তো দেশের কর্ণধার হবে। প্রধানমন্ত্রী হবে, মন্ত্রী হবে, এমপি হবে বা ভালো শিক্ষক হবে, বৈজ্ঞানিক হবে। নানা ধরনের পথে তারা যাবে। উচ্চ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা হবে। যে যেখানে পারেন, সেভাবে করবেন। তাদের ছোটবেলা থেকে শিক্ষাটা দেওয়ার ব্যাপারে নজর দিচ্ছি।’ যারা প্রতিবন্ধী, তাদের সহায়তার জন্য হুইলচেয়ার, শ্রবণের সরঞ্জামাদি দেওয়া হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। 

প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে শিক্ষা খাতে নেওয়া তাঁর সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাগণ এবং সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।