বুড়িগঙ্গা প্রথম সেতু থেকে নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার দুই দিন পর গতকাল শুক্রবার সকালে কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদের গুদারাঘাট এলাকা থেকে দুই তরুণ-তরুণীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, মৃত ব্যক্তিরা হলেন রাজধানীর পশ্চিম যাত্রাবাড়ীর আনিকা বেগম (১৯) ও দয়াগঞ্জের ইমন হোসেন (২৩)। তাঁরা স্বামী-স্ত্রী।
পুলিশ জানায়, গত বুধবার দুপুরে বুড়িগঙ্গা প্রথম সেতু থেকে আনিকা বেগম ও ইমন হোসেন নদীতে ঝাঁপ দেন। গতকাল সকাল নয়টার দিকে হাসনাবাদ খেয়াঘাট এলাকায় ১০০ গজের মধ্যে দুজনের লাশ ভেসে ওঠে। এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও নৌপুলিশ ইমন ও আনিকার লাশ উদ্ধার করে।
ইমনের মা জাহানারা বেগম বলেন, ইমন দয়াগঞ্জ এলাকার একটি গ্রিল তৈরির দোকানে কাজ করতেন। ছয় মাস আগে তাঁদের অমতে আনিকাকে বিয়ে করেন ইমন। বিয়ের পর তাঁরা গাজীপুরের টঙ্গীতে চলে যান। সেখানে তাঁরা বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। গত মঙ্গলবার সকালে ইমন তাঁদের বাসায় আসেন। পরে তিনি নাশতা করে বাসা থেকে বের হয়ে যান। তিনি বলেন, কী কারণে তাঁরা নদীতে ঝাঁপ দিয়েছেন, তা তাঁরা জানেন না।
আনিকার ফুফু বিলকিস বেগম বলেন, তাঁর ভাতিজি পরিবারের অমতে ইমনকে বিয়ে করেন। এরপর থেকে আনিকার সঙ্গে পরিবারের সম্পর্ক ছিল না। তিনি বলেন, তাঁর ধারণা, নিজেদের মধ্যে ঝগড়ার কারণে হয়তো ইমন ও আনিকা পানিতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার নৌপুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) রবিউল হক বলেন, উভয় পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ ছিল না। এ কারণে সুরতহাল শেষে দুজনের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।