লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে হতাহত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ দিতে এবং নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে ও অবস্থার উন্নয়নে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা জানিয়ে ১৫ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশনা চেয়ে করা পৃথক রিটের ওপর কাল মঙ্গলবার হাইকোর্টে শুনানি হতে পারে।
সুপ্রিম কোর্টের দুজন আইনজীবী রোববার পৃথক রিট দুটি করেন। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আজ সোমবার রিট দুটি দাখিল করা হয়। রিট দুটি শুনানির জন্য মঙ্গলবার আদালতের কার্যতালিকায় আসবে বলে জানিয়েছেন রিট আবেদনকারী আইনজীবীরা।
২৩ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে আগুন লাগে। এ সময় আগুনে পুড়ে ও নদীতে ঝাঁপ দিয়ে অন্তত ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনো নিখোঁজ অনেকে।
এ ঘটনায় নিহত প্রতি যাত্রীর পরিবারকে ১০ লাখ টাকা এবং গুরুতর আহত ব্যক্তিদের ৫ লাখ টাকা করে তাৎক্ষণিক ক্ষতিপূরণ দিতে অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ গতকাল রোববার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় একটি রিট দায়ের করেন। সেখানে নিহত যাত্রীদের পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা এবং গুরুতর আহত ব্যক্তিদের ২০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, সে বিষয়ে রুল চাওয়া হয়। ওই ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে বিচারিক কমিশন গঠন করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, সে বিষয়ও রুল চাওয়া হয়। এই রিটে নৌপরিবহনসচিব, বিআইডব্লিওটিএর চেয়ারম্যান ও লঞ্চমালিককে বিবাদী করা হয়েছে।
ওই দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা ও নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা করে দিতে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ চেয়ে একই দিন অপর রিটটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৌমিত্র সরদার। এই রিটে ওই লঞ্চে আগুন প্রতিরোধে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না—এ মর্মে রুল চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া লঞ্চ–জাহাজের ইঞ্জিনের অবস্থা জানিয়ে ১০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে এবং বৈধ লাইসেন্স বা পারমিট দাখিলের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, সে বিষয়েও রুল চাওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্রসচিব, নৌপরিবহনসচিব, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ও বিআইডব্লিওটিএর চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়েছে।