হাঙ্গেরিকে ৫ হাজার করোনার টিকা দেবে বাংলাদেশ

জাতীয় সংসদ ভবন
ফাইল ছবি

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, ইউরোপের দেশ হাঙ্গেরি বাংলাদেশের কাছে ৫ হাজার ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা চেয়েছে। সেটা পাঠানো হবে। এ ছাড়া বলিভিয়াও টিকা চেয়ে চিঠি দিয়েছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী সিদ্ধান্ত দেবেন।

আজ রোববার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে শাহরিয়ার আলম এসব কথা বলেন।

শাহরিয়ার আলম বলেন, বিশ্বের মাত্র ২২টি দেশে করোনার টিকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তার একটি বাংলাদেশ। হাঙ্গেরির মতো প্রথম সারির দেশ টিকা পায়নি।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনার টিকা নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। গুজব রটনাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আইন আছে। গুজব ছড়ানোর জন্য তিনি বিএনপি-জামায়াতের কর্মীদের দায়ী করে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান।

আলোচনায় অংশ নিয়ে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, অনেকে আশঙ্কা করেছিল, দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাজার হাজার মানুষের লাশ রাস্তায় পড়ে থাকবে। না খেয়ে মানুষ মারা যাবে। তাদের সে আশঙ্কা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কীভাবে সংকট মোকাবিলা করতে হয়, এগিয়ে যেতে হয়, তার উদাহরণ বাংলাদেশ।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ বাংলাদেশ। ঢাকা সবচেয়ে জনবহুল শহরগুলোর একটি। কোভিডের মতো সংক্রামক ব্যাধির জন্য যা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে দেশে করোনা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা গেছে। বাংলাদেশ যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছে, তা উদাহরণ। যাঁরা রাতে টিভির পর্দা গরম করেন, তাঁরা স্বীকার না করলেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, জাতিসংঘ প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছে। করোনাকালে সারা বিশ্বে প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক। সেখানে ব্যতিক্রম বাংলাদেশ। ২০টি দেশে প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক। তার মধ্যে তৃতীয় বাংলাদেশ। এখন বাস্তবে আর কুঁড়েঘর খুঁজে পাওয়া যায় না। কুঁড়েঘর শুধু কবিতায়।

হাছান মাহমুদ বলেন, মধ্যযুগে বাংলাদেশ ধনী দেশ ছিল। যে কারণে এখানে বর্গিরা এসেছিল। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে তাঁরা দেশের দৃশ্যপট আবার পাল্টে দিতে চান। ২০৪১ সাল নাগাদ বাংলাদেশ আবার উন্নত ও ধনী দেশে রূপান্তরিত হবে।

সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ লুৎফুন্নেসা খান বলেন, করোনায় উন্নত দেশগুলোও যেখানে বিপর্যস্ত, সেখানে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ শুধু করোনা মোকাবিলা নয়, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও ধরে রেখেছে। করোনার শুরুতে বিভিন্ন খাতে প্রণোদনা দেওয়ায় অর্থনীতির চাকা সচল রাখা গেছে।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, তিনি করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েছেন। এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। এটি সম্পূর্ণ ঝুঁকিমুক্ত।

জাতীয় পার্টির সাংসদ মাসুদ উদ্দীন চৌধুরী বলেন, পিপলস লিজিংয়ে টাকা রেখে মানুষ টাকা ফেরত পাচ্ছে না। তারা আন্দোলনে নেমেছে। এই টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

অন্যদের মধ্যে সরকারি দলের সাংসদ শেখ ফজলুল করিম সেলিম, প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমেদ, সাংসদ মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, নারী আসনের সাংসদ উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম, গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেন।