শেনজেন ভিসা পেতে হলে আগামী ২ নভেম্বর থেকে বাংলাদেশের নাগরিকদের আঙুলের ছাপ দিতে হবে। বাংলাদেশের নাগরিকদের বায়োমেট্রিক ডেটা দিতে নিজেদেরই ভিসার আবেদন জমা দিতে হবে।
বৈশ্বিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে শেনজেনভুক্ত দেশগুলো বাংলাদেশ, ভুটান, মালদ্বীপ, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় ভিসা তথ্য-ব্যবস্থা (ভিআইএস) চালু করায় এই পরিবর্তন আসছে। ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দূতাবাস গতকাল বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে শেনজেন ভিসার আবেদনপ্রক্রিয়ায় এই পরিবর্তনের তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভিসার আবেদনকারীদের পরিচয় ভালোভাবে সুরক্ষা, কাগজপত্র জালিয়াতি ও তথাকথিত ভিসা কেনাবেচা ঠেকাতে বিশ্বজুড়ে ভিআইএস চালু করা হয়েছে। পরিচয় শনাক্ত করার অনেক বেশি নিরাপদ পদ্ধতি হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়নে আঙুলের ছাপের ব্যাপক প্রচলন রয়েছে। সীমান্ত পুলিশ ভিসা পাওয়া লোকজনকে দ্রুত ও আরও নিশ্চিতভাবে শনাক্ত করার পদ্ধতি হিসেবে বায়োমেট্রিক ডেটা ব্যবহার করে থাকে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের লেনদেন ভিসার আবেদনকারীদের নিজেদেরই আবেদন জমা দিতে হবে। মূলত বায়োমেট্রিক ডেটা (আঙুলের ছাপ ও ডিজিটাল ফটোগ্রাফি) দেওয়ার জন্যই আবেদনকারীকে সরাসরি আবেদন জমা দিতে হবে। স্বল্পমেয়াদি (১৮০ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ ৯০ দিন) শেনজেন ভিসার ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হবে। পরবর্তী পাঁচ বছরের মধ্যে আবেদন করলে ভিআইএস থেকে আবেদনকারীর আগের বায়োমেট্রিক ডেটা নেওয়া হবে। বায়োমেট্রিক ডেটা ছাড়া শেনজেন ভিসার বর্তমান ফি ও প্রক্রিয়ায় কোনো পরিবর্তন আসছে না।
১২ বছরের কম বয়সী শিশু, আঙুলের ছাপ দিতে শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তি এবং রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদে অধিষ্ঠিত ব্যক্তি, রাজপরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্যরা, রাষ্ট্রপ্রধান, জাতীয় সরকারের সদস্যরা (তাঁদের সরকারি সফরসঙ্গী ও স্ত্রী/স্বামী) যদি সরকারি কাজে সফর করেন, তবে আঙুলের ছাপ দেওয়ার বাধ্যবাধকতার আওতায় পড়বেন না।