৫ মাস পর বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার দুয়ার খুলছে
পাঁচ মাস পর বাংলাদেশের কর্মীদের দক্ষিণ কোরিয়ায় যাওয়া শুরু হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় গত জুন থেকে বাংলাদেশের কর্মীদের দেশটিতে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং কিউন আজ মঙ্গলবার প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমেদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
ঢাকায় দক্ষিণ কোরিয়া দূতাবাস ও প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় পৃথক পৃথক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর দপ্তরে আলোচনার শুরুতে দক্ষিণ কোরিয়াগামী বাংলাদেশের কর্মীদের ভিসা দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর পুনরায় চালুর প্রসঙ্গটি টানেন দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত। তিনি জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে দক্ষিণ কোরিয়ায় গমনেচ্ছুদের ঢাকায় দক্ষিণ কোরিয়া দূতাবাসের মাধ্যমে ভিসার আবেদন চালু হয়েছে।
এ জন্য তিনি বাংলাদেশ সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
এ বছরের মাঝামাঝিতে বাংলাদেশ থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় যাওয়া একাধিক ব্যক্তির করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। পরে তাঁদের ভ্রমণের আগে ও ভ্রমণের সময় এবং পরে সম্পূর্ণ টিকাদানসহ প্রয়োজনীয় প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। একপর্যায়ে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়া স্থগিত করে দেয় দেশটি।
প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমেদ এই সিদ্ধান্তের জন্য দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। বাংলাদেশি প্রবাসী শ্রমিকদের কোরিয়ায় প্রবেশ ও পুনঃপ্রবেশ সুষ্ঠু ও সফলভাবে পরিচালনা করার জন্য কোরিয়ান কর্তৃপক্ষকে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
কোরিয়া সরকার ২০০৪ সাল থেকে এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেমের (ইপিএস) আওতায় বাংলাদেশসহ ১৬টি দেশের শ্রমিকদের নিয়োগ দিচ্ছে। প্রতিবছর দুই-তিন হাজার বাংলাদেশি শ্রমিক এই কর্মসূচির আওতায় উপকৃত হচ্ছেন। বর্তমানে এই ব্যবস্থার অধীনে কোরিয়ায় অবস্থানরত বাংলাদেশি কর্মীর সংখ্যা প্রায় ৭ হাজার ৫০০, যা মহামারির আগে ছিল ১০ হাজারের বেশি। ২০২০-২১ অর্থবছরে কোরিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের রেমিট্যান্সের পরিমাণ সর্বোচ্চ রেকর্ড গড়েছে, যা ছিল ২০৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশের জন্য ১৩তম বৃহত্তর রেমিট্যান্স উৎস দেশ হিসেবে বিবেচিত হয়।