‘৯৯৯’ ফোন পেয়ে গৃহকর্মীকে উদ্ধার, দম্পতি আটক
জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’ নম্বরে ফোন পেয়ে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে নির্যাতনের শিকার ১২ বছর বয়সী এক গৃহকর্মীকে আজ শনিবার বিকেলে উদ্ধার করে পুলিশ। গুরুতর অবস্থায় তাকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকেরা বলেন, শিশুটির সারা শরীর ঝলসে গেছে।
পুলিশ বলেছে, শিশু গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগে ওই বাসার গৃহকর্তা ও গৃহকর্ত্রীকে আটক করা হয়েছে।
ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুর রহমান আজ প্রথম আলোকে বলেন, বিকেলে ‘৯৯৯’ থেকে ফোন পেয়ে ভাটারা থানার পুলিশ বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বি–ব্লকের বাসা থেকে গৃহকর্মীকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠায়। গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগে গৃহকর্তা এজাজ সাকলায়েন ও তানজিনা হামিনকে আটক করা হয়। শিশু গৃহকর্মীকে চার মাস আটকে রেখে নির্যাতন করার অভিযোগ রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে।
বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন গৃহকর্মীর মুখমণ্ডলসহ সারা শরীরে পোড়া ও ঝলসানোর চিহ্ন রয়েছে। শিশুটি প্রথম আলোকে জানায়, তার মা-বাবার মধ্যে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর তারা দুজনে বিয়ে করে অন্যত্র চলে যান। এরপর সে, তার দুই বোন ও এক ভাইয়ের আশ্রয় হয় ময়মনসিংহে তার নানির কাছে। কয়েক মাস আগে বসুন্ধরার ওই বাসায় তাকে কাজে দেওয়া হয়।
শিশু গৃহকর্মীটি অভিযোগ করে, কাজ করতে দেরি হলে কিংবা ঘুম থেকে জাগতে দেরি হলে ফুটন্ত পানি তার শরীরে ঢেলে দিতেন তানজিনা। তানজিনার শিশু ছেলে কান্না করলে রান্নার খুন্তি গরম করে ছ্যাঁকা দেওয়া হতো তার শরীরে। গত তিন দিন ধরে তাকে বাথরুমে আটকে রাখা হয়। এ সময় তাকে খেতে দেওয়া হয়নি। খিদের জ্বালায় সে ট্যাপের পানি খেয়ে থেকেছে। বাথরুম থেকে কান্না শুনে পাশের বাড়ির এক ব্যক্তি তার কাছে সব ঘটনা শোনেন। এরপর ওই ব্যক্তি তাকে উদ্ধারের আশ্বাস দেন।