'চিল্লাচিল্লি করে রাস্তাঘাট ঠিক করে ফেলেছি'
‘আমি চিল্লাচিল্লি করে রাস্তাঘাট ঠিক করে ফেলেছি। আপনি বিলবোর্ডগুলো ঠিক করেন’—চট্টগ্রামের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে মেয়র এম মনজুর আলমকে ঘরোয়া আড্ডায় এ কথা বলেছেন সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মন্ত্রী ঠাট্টা করে মেয়রকে বলেন, ‘সবাই আপনাকে ভালো মানুষ বলে। আপনি তো আমাদের লোক ছিলেন। চলে গেলেন। মেয়রও হলেন। কিন্তু আপনাকে একটু সতর্ক থাকতে হবে। বিলবোর্ডের আগ্রাসনে চট্টগ্রাম নগরের সৌন্দর্য ঢেকে গেছে। চট্টগ্রামের সৌন্দর্য আগের মতো ফিরিয়ে আনেন।’
আজ বৃহস্পতিবার সকালে সীতাকুণ্ডে এক্সেললোড কন্ট্রোল (গাড়ির ওজন পরিমাপক যন্ত্র) স্টেশন উদ্বোধন করতে যাওয়ার পথে সিটি গেট এলাকায় স্থানীয় সাংসদ দিদারুল আলমের বাসায় যান ওবায়দুল কাদের। সেখানে মন্ত্রীর সঙ্গে মনজুর আলম সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
আওয়ামী লীগের সাংসদ দিদারুল আলম বিএনপি-সমর্থিত মেয়র মনজুর আলমের বড় ভাইয়ের ছেলে। সাংসদের আমন্ত্রণে মন্ত্রী ওই বাড়িতে যান। পাশাপাশি বাড়িতে থাকেন মেয়র ও সাংসদ। সকাল সাড়ে নয়টায় সাংসদের বাসায় যান মন্ত্রী। সেখানে ১০ মিনিট অবস্থান করে মেয়রের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে খোশগল্প করেন মন্ত্রী। ওই আড্ডার শুরুতেই ঠাট্টা করে মন্ত্রী মেয়রকে বলেন, ‘আপনার তো চাকরি থাকবে না।’
ওবায়দুল কাদের মেয়রকে বলেন, বিলবোর্ড চট্টগ্রাম নগরের সৌন্দর্য নষ্ট করছে। মেয়র হিসেবে এ বিষয়ে তাঁকে কঠিন ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেন।
যোগাযোগ করা হলে ওবায়দুল কাদের প্রথম আলোকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম নগরের সৌন্দর্য নষ্ট করে দিচ্ছে বিলবোর্ড। এসব নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব মেয়রের। তিনি শক্ত না হলে শহরের সৌন্দর্য বলতে আর কিছু থাকবে না। সেই বার্তা আমি মেয়রকে দিয়েছি।’
সড়ক মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সেনাবাহিনী সীতাকুণ্ডের এক্সেললোড কন্ট্রোল স্টেশনের নিয়ন্ত্রণ নেবে সপ্তাহ খানেকের মধ্যে। এখন অন্য একটি সংস্থা এটি পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে। তবে অভিযোগ রয়েছে, গাড়ির ওজন পরিমাপক যন্ত্র বসানোর পরও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত ওজনের গাড়ি চলাচল করছে। এতে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থান উঁচু-নিচু ও এবড়োখেবড়ো হয়ে যাচ্ছে। অতিরিক্ত ওজনের গাড়ি চলাচল করায় সেতুগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ জন্য সেনাবাহিনীকে সীতাকুণ্ডের এক্সেললোড কন্ট্রোল স্টেশন নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে।