সুন্দরবনের কাছে রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রতিবাদে তেল-গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির ‘চলো চলো ঢাকা চলো’ কর্মসূচি থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। জাতীয় কমিটির আন্দোলনকে দলবাজি ও দলীয় রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার না করারও অনুরোধ জানিয়েছে দলটি।
আজ সোমবার ওয়ার্কার্স পার্টির এক বিজ্ঞপ্তিতে দলের পলিট ব্যুরোর এই অবস্থান জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা চলো কর্মসূচির প্রচারপত্রের বক্তব্যের কারণে পার্টি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঢাকা চলো কর্মসূচির পরিবর্তে ওয়ার্কার্স পার্টি সুন্দরবন রক্ষা ও রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থানান্তরের দাবিতে আগামী ৩ ডিসেম্বর সারা দেশে সমাবেশ ও মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
ওয়ার্কার্স পার্টির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় কমিটির ২৪ থেকে ২৬ নভেম্বর ‘চলো চলো ঢাকা চলো’ কর্মসূচি উপলক্ষে প্রচারিত প্রচারপত্রে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প সর্বাংশে পরিহার করা ও রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিল করার দাবি তোলা হয়েছে। প্রচারপত্রে ‘উন্নয়নের নামে বাংলাদেশকে ভারত ও চীনের ডাস্টবিন বানানো চলবে না’—এ ধরনের বিদ্বেষমূলক স্লোগান দেওয়ার পাশাপাশি ‘সারা বিশ্বে সৌর, বায়ু, বর্জ্য বিদ্যুৎ কয়লা বিদ্যুৎকে ছাড়িয়ে গেছে’—এমন বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়া হয়েছে।
ওয়ার্কার্স পার্টির দাবি, এ ধরনের স্লোগান কোনো রাজনৈতিক দলের হতে পারে, জাতীয় কমিটির নয়। অন্যদিকে, চীন-ভারত-রাশিয়ার সঙ্গে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদকে এক কাতারে ফেলাও রাজনৈতিকভাবে সঠিক নয়। এই স্লোগানগুলোর ভিত্তিতে কর্মসূচি পালিত হলে তা আন্দোলনকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। বিএনপি-জামায়াতকে এই আন্দোলন তাদের রাজনৈতিক অভিলাষ চরিতার্থ করার সুযোগ সৃষ্টি করে দেবে।