চরম ভোগান্তিতে রোগীরা

খুলনায় গতকাল শনিবার দ্বিতীয় দিনের মতো ধর্মঘট পালন করেছে বেসরকারি হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকগুলো। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় রোগীদের।
র্যা বের ভ্রাম্যমাণ আদালত গত বুধবার খুলনার বেসরকারি গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অভিযোগে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেন। এ ছাড়া বুধ ও বৃহস্পতিবার আরও কয়েকটি ফার্মেসি ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে মোট সাড়ে ১৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এর প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল আটটা থেকে জেলার সব বেসরকারি হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট শুরু করে বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল প্র্যাকটিশনার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএমপিএ) ও বাংলাদেশ প্রাইভেট ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিপিসিডিওএ)। এতে পূর্ণ সমর্থন দেয় বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) খুলনা শাখা। বিপিসিডিওএর খুলনা শাখার সভাপতি চিকিৎসক গাজী মিজানুর রহমান গাজী মেডিকেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
আলোচিত গাজী মেডিকেলেও গতকাল চিকিৎসা নিতে এসে ফিরে যান অনেকে। তাঁদের একজন মিজানুর রহমান বলেন, তিনি নড়াইল থেকে এসেছেন। কিন্তু হাসপাতালের লোকজন বলে দিয়েছেন ধর্মঘট চলছে, রোগী দেখা হবে না। তাই ডাক্তার না দেখিয়েই তিনি ফিরে যাচ্ছেন।
ডক্টরস পয়েন্টের সামনে থেকে ফিরে যাচ্ছিলেন সুব্রত গাইন নামের এক রোগী। তাঁর ভাই বিপ্লব গাইন বলেন, তাঁরা কয়রা থেকে এসেছেন। ডাক্তার কিছু পরীক্ষা করাতে দিয়েছেন, কিন্তু কোথাও করাতে পারছেন না। তবে তাঁদের রাতে আসতে বলা হয়েছে।
এ ধর্মঘট নিয়ে নগরজুড়ে তীব্র সমালোচনার মুখে বিপিএমপিএ, বিপিসিডিওএ ও বিএমএর নেতারা গতকাল শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় খুলনা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন। এ সময় বিএমএ নেতা মিজানুর দাবি করেন, র্যা বের অভিযানের সময় তাঁদের আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনো সুযোগ দেওয়া হয়নি। আতঙ্কে রয়েছেন তাঁরা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন খুলনা জেলা বিএমএর সভাপতি শেখ বাহারুল আলম, বিপিসিডিওএর নেতা গাজী মিজানুর রহমানসহ ধর্মঘটে যুক্ত সংগঠন তিনটির নেতারা।
এদিকে পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে গতকাল সন্ধ্যা ছয়টায় জরুরি সভায় বসার কথা ছিল বিপিএমপিএ, বিপিসিডিওএ ও বিএমএ নেতাদের। তবে রাত আটটায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাঁরা বৈঠকে বসেননি।