কেশবপুরে 'ফার্মেসি' সিলগালা

যশোরের কেশবপুর শহরের একটি কবিরাজি ‘ফার্মেসি’ গতকাল সোমবার সিলগালা করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। সেখানে অপচিকিৎসা দিয়ে একটি শিশুকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়ার ঘটনার পর এ পদক্ষেপ নেওয়া হলো। আজিম নামের শিশুটির গতকাল দুপুর পর্যন্ত জ্ঞান ফেরেনি।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মনিরামপুর উপজেলার দূর্বাডাঙ্গা গ্রামের আবদুল আলিমের ছেলে আজিম (৭) গত শনিবার সকালে সংজ্ঞা হারায়। এরপর তাকে কেশবপুর শহরের কবিরাজ জিয়াউর রহমানের ‘জিয়া ‘ফার্মেসি’-তে নিয়ে আসা হয়। জিয়াউর ঝাড়ফুঁক করার পাশাপাশি একটি ইনজেকশন দিলে শিশুটি অচেতন হয়ে পড়ে। তাকে রাতে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় শিশুটিকে যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

হাসপাতালের সহকারী রেজিস্ট্রার চিকিৎসক মাহাফুজুর রহমান গতকাল বেলা দুইটায় বলেন, শিশুটি এখনো অচেতন রয়েছে। তাকে এখনো আশঙ্কামুক্ত বলা যাবে না।

উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পত্রিকায় প্রকাশিত খবর দেখে কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শরীফ রায়হান কবির গতকাল দুপুরে জিয়া ফার্মেসিতে অভিযান চালান। এ সময় প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।

ইউএনও বলেন, এই জিয়া মানুষকে অপচিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন। এর আগে তিনি তাঁকে মৌখিকভাবে নিষেধ করেছিলেন। তারপরও তিনি একটি শিশুকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছেন। এ কারণে প্রতিষ্ঠানটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হলো।

অভিযানকালে কেশবপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) লিটন আলী, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শেখ আবু শাহীন, কেশবপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ মাসুদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।