'টাকার জন্য ডাকাতিতে জেএমবি'

রাজধানীর তেজগাঁও এলাকা থেকে গ্রেপ্তার জেএমবির সন্দেহভাজন সাত জঙ্গি সংগঠনের জন্য অস্ত্র কেনা এবং কারাবন্দী নেতাদের মুক্ত করতে প্রয়োজনীয় অর্থ সংগ্রহের জন্য ডাকাতি করতেন। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম এই দাবি করেছেন।

আজ মঙ্গলবার দুপুরের দিকে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে জেএমবির সন্দেহভাজন সাত জঙ্গিকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানিয়ে ওই দাবি করেন মনিরুল।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গতকাল সোমবার রাতে তেজগাঁও এলাকার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে ওই সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ সদর দপ্তরের সহায়তায় ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইউনিট এই অভিযান চালায়।

কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের বিবরণ অনুযায়ী, গ্রেপ্তার হওয়া সাতজন হলেন মো. জুয়েল সরকার ওরফে সোহরাব ওরফে সরকার (৩২), মো. রাশেদ ওরফে কাকলীর বাবা (২৭), মো. সেন্টু হাওলাদার ওরফে জাহিদ (২৬), নাজমুল হাসান ওরফে নয়ন ওরফে নরেশ (২৩), মো. আবদুল বাসেদ (২২), মো. কাসেম ওরফে কাওসার ওরফে কাসু (২০) ও মো. আবু বকর সিদ্দিক ওরফে শুভ্র ওরফে আকাশ (২০)।

মনিরুল জানান, গত জুনে বনানী ও অক্টোবরে তেজগাঁও থানা এলাকায় দুটি ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এই দুটি ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলা তদন্ত করতে গিয়ে ওই সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মনিরুলের ভাষ্য, গ্রেপ্তার হওয়া সাতজন জেএমবির মূল ধারার সক্রিয় সদস্য। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা জানিয়েছেন, বাসা ভাড়া নেওয়ার কথা বলে তাঁরা বিভিন্ন বাসায় ঢুকে নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করেন। বিশেষ করে অস্ত্র কেনা এবং কারাগারে থাকা নেতাদের জামিনে বা ছিনিয়ে মুক্ত করতে তাঁরা অর্থ জোগাড় করছিলেন। ইতিমধ্যে তাঁরা বিস্ফোরকও সংগ্রহ করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের কাছ থেকে ৬৭ ভরি সোনা, ৪টি পিস্তল, ৫টি ম্যাগাজিন, ১০টি গুলি, ৯টি চাপাতি, ২টি রামদা, ৮ বোতল রাসায়নিক পদার্থ, ৩ প্যাকেট রাসায়নিক পাউডার, নগদ প্রায় ৬ লাখ টাকা, ১০টি মোবাইল, ২টি টিভি, ৪টি ক্যামেরা, ২টি ল্যাপটপ, ১টি মোটরসাইকেল ও সোনা মাপার ৪টি যন্ত্র।

আরও পড়ুন: