হাসপাতালে স্ত্রীর লাশ রেখে স্বামীর চম্পট!

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় স্ত্রী রাশেদা বেগমের (২৬) লাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রেখে স্বামী আজিজুল মাতুব্বর (৩৫) পালিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।

আজ মঙ্গলবার সকালে ভাঙ্গা থানার পুলিশ রাশেদার লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

আজিজুলের বাড়ি ভাঙ্গা উপজেলার দিঘলকান্দা গ্রামে। রাশেদার পৈতৃক বাড়ি ভাঙ্গা পৌরসভার কৈডুবি সদরদীতে। প্রায় ১০ বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়। তাঁদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

রাশেদার ভাই মজিবর রহমান অভিযোগ করেন, আজিজুল দীর্ঘদিন ধরে রাশেদাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছিলেন। এ নিয়ে পারিবারিকভাবে একাধিক সালিস বৈঠকও হয়েছে। বোনকে হত্যা করে ভগ্নিপতি লাশ ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফেলে রেখে গেছেন বলে তাঁর অভিযোগ।

ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কর্মকর্তা মো. আবদুল্লাহ বলেন, রাশেদা বেগমকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাঁর শরীরে বিষক্রিয়ার আলামত পাওয়া গেছে। স্বামীসহ যাঁরা হাসপাতালে এসেছিলেন, রাশেদার মৃত্যুর খবর শুনে লাশ ফেলে রেখে তাঁরা পালিয়ে যান।

ভাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ বলেন, হাসপাতালের প্রতিবেদন অনুযায়ী রাশেদা বিষক্রিয়ায় মারা গেছেন। তবে সুরতহাল প্রতিবেদনে তাঁর মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ঘটনার পর রাশেদার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছেন। রাশেদার বাবার পরিবারের পক্ষ থেকে একটি মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।