সাগর বাহিনীর ১৩ সদস্যের আত্মসমর্পণ

সুন্দরবনের জলদস্যু সাগর বাহিনীর প্রধানসহ ১৩ দস্যু গতকাল বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের হাতে অস্ত্র ও গোলাবারুদ জমা দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করেছেন। বরগুনার সার্কিট হাউস ময়দানে এ আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে দস্যুরা ২০টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৫৯টি গুলি জমা দেন।
আত্মসমর্পণকারী দস্যু বাহিনীর সদস্যদের প্রত্যেককে বরগুনা জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা করে সহায়তা দেওয়া হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এ সময় বলেন, ‘সুন্দরবনে জলদস্যুদের অপতৎপরতা রোধ করা গেলে পর্যটকদের আগমন বাড়বে। জেলেরা নির্বিঘ্নে মাছ ধরতে পারবে। এতে দেশ আর্থিকভাবে লাভবান হবে। এ জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা র্যা বের মাধ্যমে জলদস্যুদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিই।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন র্যা ব-৮-এর পরিচালক লে. কর্নেল মো. ইফতেখারুল মাবুদ। র্যা বের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
র্যা ব-৮ জানিয়েছে, সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জ এলাকায় গত মঙ্গলবার বিশেষ অভিযান শুরু করে এ বাহিনী। বুধবার রেঞ্জের দরজার খাল এলাকায় অভিযানের সময় নিজেদের সাগর বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে আত্মসমর্পণের প্রস্তাব দেন তাঁরা।
আত্মসমর্পণ করা ১৩ দস্যু হলেন সাগর বাহিনীর প্রধান আলমগীর শেখ ওরফে সাগর, কামরুল ফকির, আবদুল মালেক, কাদের শেখ, হাফিজুর রহমান শেখ, কবীর সরদার, দেলোয়ার শেখ, হাসান সরদার, নান্না ফকির, তৌহিদুল ইসলাম, রাজু শেখ, লিটন হাওলাদার ও তারিকুল গাজী। তাঁদের বাড়ি বাগেরহাট জেলার মোংলা ও রামপাল উপজেলায়। দস্যুরা আটটি বিদেশি একনলা বন্দুক, তিনটি দেশি একনলা বন্দুক, একটি বিদেশি দোনলা বন্দুক, দুটি ২২ বোর বিদেশি এয়ার রাইফেল, চারটি এলজি ও দুটি দেশীয় কাটা রাইফেল ও ৫৯৬টি তাজা গুলি জমা দেন।
র্যা বের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেন, এরই মধ্যে চারটি দস্যু বাহিনীর প্রধানসহ ৩৫ জন সদস্য আত্মসমর্পণ করেছেন। আরও দুটি বাহিনী বঙ্গোপসাগর ও সুন্দরবনে সক্রিয় আছে উল্লেখ করে তিনি ওই দুটি বাহিনীর সদস্যদের স্বেচ্ছায় নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করার আহ্বান জানান।