পিরোজপুরে দুই ডিলারের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

পিরোজপুরের নাজিরপুর ও মঠবাড়িয়া উপজেলায় সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা কেজি দরের চাল বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলা দুটির দুজন ডিলারের বিরুদ্ধে ওজনে চাল কম দেওয়ার অভিযোগ করেছেন সুবিধাভোগীরা। অভিযোগ ওঠার পর মঠবাড়িয়া উপজেলায় একজনের ডিলারশিপ বাতিল করা হয়েছে।

নাজিরপুর উপজেলার দেউলবাড়ি ইউনিয়নের শচীন সরকার, দেলোয়ার হোসেনসহ অন্তত পাঁচজন প্রথম আলোকে বলেন, এ ইউনিয়নের ডিলার তানজির হোসেন ৩০ কেজির পরিবর্তে তাঁদের ২৬-২৭ কেজি করে চাল দেন। এ ছাড়া চাল বিতরণের তালিকায় স্বাক্ষর না নিয়ে টিপসই নেওয়া হয়। কারণ যেসব কার্ডধারী চাল নিতে আসেন না, ডিলার তাঁদের টিপসই দিয়ে ওই চাল উত্তোলন দেখিয়ে কালোবাজারে বিক্রি করেন।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ডিলার তানজির বলেন, ‘আমাকে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে এই মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।’

নাজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রেজাউল করিম বলেন, অভিযোগের বিষয়টি অনুসন্ধান করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে মঠবাড়িয়া সদর ইউনিয়নের ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কার্ডধারী শতাধিক বাসিন্দা চাল না পেয়ে গত শুক্রবার দুপুরে স্থানীয় সাংসদ রুস্তম আলী ফরাজির কাছে অভিযোগ করেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে সাংসদের নির্দেশে পুলিশ গিয়ে ডিলার জাকিরের দোকানে তালা দেয়। পরে তাঁর ডিলারশিপ বাতিল করা হয়।

মুঠোফোনে জানতে চাইলে ডিলার জাকির হোসেন বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ ভিত্তিহীন।’

এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার বড় মাছুয়া, দাউদখালী ও মিরুখালী ইউনিয়নের তিন ডিলারসুবিধাভোগীদের মধ্যে কার্ড বিতরণ না করে নিজেদের কাছে রেখে দেন। বড়মাছুয়া ইউনিয়নের ডিলার ইউনুস কাজীর দোকানে পাওয়া গেছে ৩৫২ জনের কার্ড। এ বিষয়ে ইউনুস বলেন, প্যানেল চেয়ারম্যান কাইউমেরনির্দেশে তিনি চাল বিতরণের পর কার্ডগুলো জমা রাখেন। কাইউম বলেন, কার্ডগুলো যাতে নষ্ট না হয় বা হারিয়ে না যায়, সে জন্য ডিলার জমা রেখেছেন।

মিরুখালী ইউনিয়নের ডিলার জামাল হোসেন ও দাউদখালী ইউনিয়নের ডিলার ফারুক খান বলেন, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকেরস্বাক্ষর নেওয়ার জন্য কার্ডগুলো জমা রাখা হয়েছে।