তালিকা তৈরিতে দুর্নীতির সত্যতা পেল তদন্ত কমিটি

কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার ধলা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তালিকা তৈরিতে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি। গত বুধবার তাড়াইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে জমা দেওয়া ওই কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে এ কথা জানা গেছে।
দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে ওই ওয়ার্ডের ৩০ জন সুবিধাভোগীর তালিকায় ৭ জন সচ্ছল ব্যক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে ১৫ অক্টোবর প্রথম আলোতে ‘গরিবের চাল পাচ্ছেন ধনীরা’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর ইউএনও সুলতানা আক্তার ১৬ অক্টোবর এই অভিযোগ তদন্তের জন্য উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ছাইফুল ইসলামকে প্রধান করে দুই সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করেন। কমিটির অপর সদস্য হলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন।
১৭ অক্টোবর ছাইফুল ইসলাম ও আনোয়ার হোসেন ৩ নম্বর ওয়ার্ড (নয়াপাড়া) পরিদর্শন করে তালিকাভুক্ত ধনী ব্যক্তিদের বাড়িতে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে ও স্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলেন। গত বুধবার বিকেলে তাঁরা এ বিষয়ে ইউএনওর কাছে লিখিত প্রতিবেদন জমা দেন। ওই প্রতিবেদনে অভিযুক্ত চারজনের নাম তালিকা থেকে বাদ দিয়ে হতদরিদ্র চারজনের নাম অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করা হয়। এ চারজন হলেন ৯৩ ক্রমিকের মো. ইব্রাহিম, সংরক্ষিত ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মাসুমা আক্তারের স্বামী ৯১ ক্রমিকের আবদুল কাদির, মাসুমার মেয়ে ১০৭ ক্রমিকের পান্না আক্তার, মাসুমার দেবর ১০৬ ক্রমিকের আবদুল গণি।