বিদ্যুৎস্পৃষ্টে এক শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু

মেহেরপুরের গাংনীতে গতকাল শুক্রবার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। একই দিন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন দুজন নির্মাণশ্রমিক।
গাংনীতে মারা যাওয়া শিশুটির নাম মোসাফির (৯)। সে উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের গোরস্থানপাড়া এলাকার আজিজুল হকের ছেলে। পড়ত বাঁশবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে।
পরিবার সূত্র জানায়, বাঁশবাড়িয়া গ্রামের খাদিজাতুল কোবরা মহিলা মাদ্রাসার উদ্যোগে গত বৃহস্পতিবার রাতে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ব্যবহৃত মাইক ও বিদ্যুতের তার খুলতে গতকাল বেলা দেড়টার দিকে গাছে ওঠে মোসাফির। এ সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সে ছিটকে মাটিতে পড়ে। তাকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ঠাকুরগাঁওয়ে মারা যাওয়া দুজন হলেন নবকুমার বর্মণ (২৬) ও সুব্রত কুমার বর্মণ (২৮)। নবকুমার ঠাকুরগাঁও সদরের রুহিয়া ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামের নুনুকুমার বর্মণের ছেলে। সুব্রত কুমারের বাড়ি উপজেলার রাজাগাঁও ইউনিয়নের আজরায়পুর গ্রামে। বাবার নাম অনিল চন্দ্র বর্মণ।
রুহিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মনিরুল হক বলেন, নির্মাণশ্রমিকদের একটি দল গতকাল তাঁর ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামে একটি বাড়ির ছাদ ঢালাইয়ের কাজ করছিলেন। বেলা দুইটার দিকে নবকুমার ছাদ থেকে পাশের টিনের চালা দিয়ে নিচে নামতে যান। এ সময় সেখানে থাকা একটি পানির পাম্পের তারের সংস্পর্শে আসেন। এতে তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তারসহ মাটিতে ছিটকে পড়েন। তাঁকে বাঁচাতে এগিয়ে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন সুব্রত কুমার। ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে দুজনই মারা যান। রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মোহাম্মদ শাহরিয়ার ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন।