শিবপুরে কলেজপড়ুয়া মেয়েকে হত্যার পর মাটিচাপা

নরসিংদীর শিবপুরে বাবার বিরুদ্ধে সন্তানকে হত্যার পর মাটিচাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ গতকাল রোববার রাতে উপজেলার শেরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশ থেকে মাটি খুঁড়ে মনিরা বেগম (১৯) নামের এক তরুণীর লাশ উদ্ধার করে।

মনিরা শেরপুর গ্রামের খোরশেদ আলমের মেয়ে। তিনি নরসিংদী ইমপেরিয়াল কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।

এলাকাবাসী ও থানা-পুলিশ সূত্র জানায়, একই গ্রামের মৃত আবদুর রশিদের ছেলে নোবেল মিয়ার সঙ্গে মনিরার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কয়েক বছর ধরে তাঁরা গোপনে প্রেমের সম্পর্ক রেখে আসছিলেন। কিছুদিন আগে এলাকায় তা প্রকাশ পায়। এর কয়েক দিন পর পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি জানতে পারেন। কিন্তু তাঁরা বিষয়টি সহজে মেনে নিতে পারেননি। এক সপ্তাহ আগে মনিরার বাবা খোরশেদ আলম স্পষ্ট জানিয়ে দেন তিনি কোনোভাবেই সম্পর্ক মেনে নেবেন না। মনিরাও বেঁকে বসেন। একপর্যায়ে মনিরার ওপর শারীরিক নির্যাতন চালাতে থাকেন বাবা। একই ইস্যুতে সর্বশেষ বিতণ্ডা হয় গত সোমবার। ওই দিনও মনিরাকে প্রচণ্ড মারধর করেন তাঁর বাবা। এতে মনিরার মৃত্যু হয়। পরে গোপনে বাড়ির পাশের নির্জন স্থানে মনিরার মৃতদেহ মাটিচাপা দেওয়া হয়। কয়েক দিন পর ধীরে ধীরে তা প্রকাশ হতে থাকে। প্রতিবেশীরা মনিরাকে ঘরে দেখতে না পাওয়ার কারণ জানতে চাইলে পরিবারের সদস্যরা অসংলগ্ন কথা বলতেন। কখনো বলতেন বেড়াতে গেছে। কখনো বলতেন কলেজে গেছে। বিষয়টি জানাজানি হয়ে যাচ্ছে বুঝতে পেরে পরিবারের সব সদস্য বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান। এতে প্রতিবেশীদের সন্দেহ আরও বাড়ে। পরে পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ রাত নয়টার দিকে মাটি খুঁড়ে লাশ উদ্ধার করে।

শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দুজ্জামান বলেন, লাশ উত্তোলনের সময় মনিরার বাবা-মা কিংবা পরিবারের কোনো সদস্য উপস্থিত ছিলেন না। তাঁরা পালিয়ে গেছেন। এলাকাবাসী জানিয়েছেন, প্রেমের ঘটনার সূত্র ধরে পরিবারের সদস্যরা মনিরাকে মেরে মাটিচাপা দিয়ে রাখেন।