ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনা সুপরিকল্পিত : বিএনপি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির ও বসতবাড়িতে হামলার নিন্দা জানিয়ে বিএনপি অভিযোগ করেছে, এ ঘটনা সুপরিকল্পিত এবং মহলবিশেষের গভীর ষড়যন্ত্র। স্থানীয় প্রশাসন দ্রুত তৎপর হলে অনাকাঙ্ক্ষিত এ পরিস্থিতি এড়ানো যেত।

আজ সোমবার বিকেলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন। দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীও একই দাবি করেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বিবৃতিতে অভিযোগ করেন, ফেসবুক পোস্টে পবিত্র কাবা শরিফ অবমাননা করাকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত তাণ্ডব চক্রান্তের অংশ। এটি মহলবিশেষের গভীর ষড়যন্ত্র। তিনি দাবি করেন, ইতিমধ্যে অভিযুক্ত যুবক ফেসবুকে আপত্তিকর ছবি পোস্ট করার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। সুতরাং প্রকৃত অপরাধীকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় না এনে অরাজক পরিস্থিতির সুযোগ সৃষ্টি করার বিষয়টি সন্দেহজনক।

এর আগে দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনা অত্যন্ত সুপরিকল্পিত এবং সামাজিক শান্তি, স্থিতিশীলতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতার ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনায় দায়ী দুষ্কৃতকারীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলা সদরে গত রোববার দুপুরে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ও মন্দিরে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের হরিণ বেড় গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের এক যুবক ফেসবুকে উসকানিমূলক একটি ছবি পোস্ট করেন—এমন অভিযোগে স্থানীয় লোকজন শুক্রবার তাঁকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। পরে রোববার ওই ভাঙচুর-লুটপাটের ঘটনা ঘটে। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে চলা এই ভাঙচুর-লুটপাটের সময় অর্ধশতাধিক নারী-পুরুষকে পিটিয়ে আহত করা হয় বলে অভিযোগ।