রামপাল নিয়ে অবস্থান বদলায়নি ইউনেসকোর

রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিলসহ যেসব সুপারিশ ইউনেসকো করেছে, তা বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে সহযোগিতা দিতে চায় জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও ঐতিহ্যবিষয়ক সংস্থাটি। তবে রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিলসহ অন্য সুপারিশগুলো না মানলে আগামী বছর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকা থেকে সুন্দরবনের বাদ যাওয়ার আশঙ্কার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে সংস্থাটি।

গত সোমবার ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্য কেন্দ্রের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলেছে সংস্থাটি। গত ২৪ থেকে ২৮ অক্টোবর ফ্রান্সের প্যারিসে অবস্থিত ইউনেসকোর প্রধান কার্যালয়ে বাংলাদেশ সরকারের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সফরে যাওয়া উপলক্ষে এই বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করে তারা।

পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সুন্দরবনের পাশে বাগেরহাটের রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হলে সুন্দরনের পরিবেশগত ঝুঁকি না থাকার বিষয়টি ব্যাখ্যা করতেই প্রতিনিধিদল এ সফরে যায়। কারণ, এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিরুদ্ধে ইউনেসকো একাধিকবার সরকারকে চিঠি দিয়েছে। সর্বশেষ গত মাসে সংস্থাটি বিশদ একটি প্রতিবেদন দেয়, যেখানে বলা হয় রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রটি সুন্দরবনের ক্ষতি করবে না এমন স্থানে অবিলম্বে সরিয়ে নিতে হবে। তবে সরকার ইউনেসকোর ওই আবেদনে সাড়া না দিয়ে রামপাল প্রকল্প অব্যাহত রাখে।

গত সোমবার প্রকাশিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের উচ্চপর্যায়ের সরকারি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে ইউনেসকোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেন্টারে বৈঠক হয়েছে। এতে ইউনেসকো ও আইইউসিএনের প্রতিনিধিদের সুন্দরবন বিষয়ে এর আগে দেওয়া সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ আগামী ১ ডিসেম্বরের মধ্যে সুন্দরবন রক্ষায় তাঁর সরকার কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে, সেটি ইউনেসকোকে অবহিত করবে। ইউনেসকো বাংলাদেশের অবস্থানপত্রটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে।

প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রইছউল আলম মণ্ডল।