ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগ তদন্তে কমিটি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদের ‘সি-৩’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বাণিজ্য অনুষদের ‘সি-৩’ ইউনিটের ঘটনা তদন্তে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা হলেন নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহামেদ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর হেলাল উদ্দিন আহম্মদ।
উপাচার্য বলেন, আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। এর আগ পর্যন্ত ‘সি-৩’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা-সংক্রান্ত সব কার্যক্রম স্থগিত থাকবে।
তদন্ত কমিটির প্রধান নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহামেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাকে তদন্ত কমিটিতে রাখা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে এ বিষয়ে আমি এখনো লিখিত কাগজ পাইনি।’
এদিকে বাণিজ্য অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ‘সি-৩’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। সেখানে বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে কী আছে, তা এ মুহূর্তে প্রকাশ করা যাবে না।
বাণিজ্য অনুষদের ‘সি-৩’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগ ওঠায় উপাচার্যের নির্দেশে গত বুধবার মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।
গত সোমবার বাণিজ্য অনুষদের ‘সি-২’ ও ‘সি-৩’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া অনেক শিক্ষার্থীর অভিযোগ ‘সি-৩’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি হয়েছে। এসসিকিউ (বহুনির্বাচনি) পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় ১০০টি প্রশ্নেরই সঠিক উত্তর ঝাপসা করে রাখা হয়, যাতে ‘জালিয়াতির’ সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের পছন্দের ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা সঠিক উত্তরটি দিতে পারেন। প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, মেধাতালিকার ১ নম্বরে থাকা শিক্ষার্থী ছাড়াও অন্তত ১৫ জন ‘অস্বাভাবিক’ নম্বর পেয়েছেন।