জামালগঞ্জে নির্যাতনে গৃহবধূর মৃত্যুর অভিযোগ

সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলায় স্বামী ও তাঁর পরিবারের লোকজনের নির্যাতনে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় গতকাল মঙ্গলবার এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন জামালগঞ্জ উপজেলার জাল্লাবাজ গ্রামের কুদরত আলীর স্ত্রী সুলেখা বেগম (৩২) ও জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার মাঝপাড়া গ্রামের জহুরুল হকের স্ত্রী জাহানারা বেগম (৪৫)।

জামালগঞ্জ থানার পুলিশ ও গৃহবধূর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সাত বছর আগে জাল্লাবাজ গ্রামের আবদুর রহমানের মেয়ে সুলেখা বেগমের সঙ্গে একই গ্রামের ইস্কন্দর আলীর ছেলে কুদরত আলীর (৩৫) বিয়ে হয়।

সুলেখার ছোট ভাই রবি হোসেন অভিযোগ করেন, বিয়ের পর থেকে পারিবারিক কলহের জের ধরে কুদরত আলী ও তাঁর পরিবারের লোকজন তাঁর বোনকে মারধর করতেন। গত শনিবার একইভাবে মারধরে তাঁর বোন অসুস্থ হয়ে পড়েন। কিন্তু তাঁকে কোনো চিকিৎসা করানো হয়নি। সোমবার সন্ধ্যায় তাঁরা জানতে পারেন, তাঁর বোন মারা গেছেন। পরে ওই বাড়িতে গিয়ে সুলেখার লাশ পান তাঁরা। এ সময় কুদরত আলী ও তাঁর পরিবারের লোকজন পালিয়ে যান। পরে তাঁরা বিষয়টি পুলিশকে জানান। গতকাল সকাল ১০টায় পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। রবি হোসেন আরও অভিযোগ করেন, তাঁর বোনের পুরো শরীর ফুলে গেছে। নির্যাতনের কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এ বিষয়ে জামালগঞ্জ থানার ওসি মো. আতিকুর রহমান জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর কীভাবে সুলেখার মৃত্যু হয়েছে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

বকশীগঞ্জ থানার পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঘরের আড়ার সঙ্গে জাহানারা বেগমের ঝুঁলন্ত লাশ দেখতে পান তাঁর ছোট ছেলে আবদুল আজিজ। পরে খবর পেয়ে পুলিশ দুপুর ১২টার দিকে সেখান থেকে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর সদর হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁর ছোট ছেলে এবং বড় ছেলে আলমগীর হোসেনের স্ত্রী সাহিদা আক্তারকে (২২) আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। বকশীগঞ্জ থানার ওসি আসলাম হোসেন বলেন, ‘ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের পর বোঝা যাবে এটা হত্যা না আত্মহত্যা।