ফেরি-স্বল্পতায় যানবাহন পারাপারে বিঘ্ন, দুর্ভোগ

ফেরি-স্বল্পতার কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে যানবাহন পারাপার ব্যাহত হচ্ছে। বর্তমানে এই ঘাটে ছোট-বড় ১৪টি ফেরি চলাচল করছে। প্রয়োজনের তুলনায় ফেরি কম থাকায় গতকাল বুধবার দুপুরে দৌলতদিয়া প্রান্তে চার শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় আটকে ছিল। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন চালক ও যাত্রীরা।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয় সূত্র জানায়, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ছোট-বড় ১৯টি ফেরি চলাচল করত। ঈদুল আজহার পর বিভিন্ন সময় যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে তিনটি রো রো (বড়) ফেরি নারায়ণগঞ্জের ডকইয়ার্ডে পাঠানো হয়। প্রায় আট মাস ধরে ইউটিলিটি ফেরি মাধবীলতা বিকল হয়ে পাটুরিয়ার ভাসমান কারখানা মধুমতিতে রয়েছে। এ ছাড়া ৬ নভেম্বর রো রো ফেরি ভাষাসৈনিক গোলাম মওলাকে নেওয়া হয়েছে মাওয়া-কাওড়াকান্দি নৌপথে। বাকি ১৪টি ছোট-বড় ফেরি দিয়ে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে যানবাহন পারাপার হচ্ছে।
গতকাল দুপুরে দৌলতদিয়া ঘাটে গিয়ে ফেরিঘাট থেকে স্থানীয় বাংলাদেশ হ্যাচারিজ পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কে বিভিন্ন যানবাহন আটকে থাকতে দেখা যায়।
বেলা সাড়ে ১১টায় যশোরের ঝিকরগাছা থেকে আসা ট্রাকের চালক আলামিন সরদার বলেন, ‘দুই দিন ধরে মহাসড়কে আটকে আছি। এখনো ফেরির নাগাল পাইনি।’ ঈগল পরিবহনের ঘাট তত্ত্বাবধায়ক ভরত মণ্ডল বলেন, মঙ্গলবার মধ্যরাতে কোম্পানির অন্তত ১২টি দূরপাল্লার গাড়ি ঘাটে এসেছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থেকে অনেক যাত্রীই কাহিল হয়ে পড়েছেন।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম জানান, ডকইয়ার্ডে থাকা তিনটি রো রো ফেরির মধ্যে একটি এই নৌপথের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। মাওয়া-কাওড়াকান্দি থেকে বৃহস্পতিবারের (আজ) মধ্যে আরেকটি ফেরি আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এগুলো এলেই পরিস্থিতির উন্নতি হবে।