১০ বছর পর সম্মেলন, ফিরেছে প্রাণচাঞ্চল্য

দীর্ঘ ১০ বছর পর কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলা বিএনপির সম্মেলন কাল ১২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত ৩০ অক্টোবর জেলা বিএনপির বর্ধিত সভায় জেলা বিএনপির সভাপতি মো. ফজলুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মো. মাজহারুল ইসলাম সম্মেলনের ওই তারিখ ঘোষণা করেছেন। অনেক দিন পর সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করায় নেতা-কর্মীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে।
উপজেলা বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, তাড়াইল উপজেলা সদরের বেলংকা রোডে বালুর মাঠে (মাটি ভরাট করা জায়গায়) সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির ময়মনসিংহ বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক মো. শরিফুল আলমের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
সর্বশেষ ২০০৪ সালের ২০ জুলাই তাড়াইল উপজেলা বিএনপির সম্মেলন হয়েছিল। দুই বছরের জন্য গঠিত কমিটি কার্যক্রম চালিয়েছে প্রায় ২০০৯ সালের ৩ অক্টোবর পর্যন্ত। এরপর থেকে আহ্বায়ক কমিটির মাধ্যমে চলছে উপজেলা বিএনপির কার্যক্রম। দীর্ঘদিন সম্মেলন না হওয়ায় হতাশ ছিলেন নেতা-কর্মীরা।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্মেলনে সভাপতি পদে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. ছাইদুজ্জামানের নাম এককভাবে শোনা গেলেও সাধারণ সম্পাদক পদে চারজনের নাম শোনা যাচ্ছে। এঁরা হলেন উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. আখলাকুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মাজহারুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সারোয়ার হোসেন ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সারোয়ার আলম।
রাউতি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. আবুল হাসান বলেন, এর আগে দুবার তারিখ নির্ধারণ হলেও সম্মেলন হয়নি। আশা করছি ১২ নভেম্বরের সম্মেলনে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের ভোটে নেতা নির্বাচিত হবে। উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শরীফ উদ্দিন জানান, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ওই দিন উপজেলা বিএনপির নেতা নির্বাচনের বিষয়টি এখন সময়ের দাবি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন নেতা-কর্মী বলেন, সম্মেলনে যদি আবারও পকেট কমিটি হয়, তাহলে তাড়াইলে বিএনপির ভরাডুবি হবে।
সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মো. মাজহারুল ইসলাম জানান, আমার বিশ্বাস, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার (ভোট) মাধ্যমে সম্মেলন হলে ভোটাররা আমাকে নির্বাচিত করবেন। মো. সারোয়ার হোসেন বলেন, আশির দশক থেকে দলের জন্য কাজ করছি, কাউন্সিলরা যদি আমাকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করেন, তাহলে দলকে এগিয়ে নিতে আমি আরও সচেষ্ট হব। মো. আখলাকুল ইসলাম বলেন, দলে আমার অবদান সবাই জানেন। সদস্যসচিব পদে থেকে দলকে সংগঠিত করেছি, সাধারণ সম্পাদক হলে আমার এ চেষ্টা আরও গতিশীল হবে। মো. সারোয়ার আলম জানান, দলের জন্য আমি কী করেছি তা তাড়াইলবাসী জানেন। আমি আশাবাদী, তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা আমার অবদানের মূল্যায়ন করবেন।
সভাপতি পদপ্রার্থী মো. ছাইদুজ্জামান বলেন, সভাপতি নির্বাচন করবেন কাউন্সিলররা। তিনি আরও বলেন, সম্মেলনকে ঘিরে ইতিমধ্যে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে একাধিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আশা করি, সম্মেলন সফলভাবে শেষ হবে।
এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মাজহারুল ইসলাম বলেন, তাড়াইল উপজেলা বিএনপির সম্মেলন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।