দৌলতদিয়া ফেরিঘাট পরিদর্শনে দুই মন্ত্রী

ভাঙনের কারণে পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর থেকে পবিত্র ঈদুল আজহার পর পর্যন্ত রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ার প্রায় সবকটি ফেরিঘাট বন্ধ হয়ে দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধের উপক্রম হয়। এতে যানবাহনের চালক ও যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। ঘাটের অবস্থা জানতে ও করণীয় সম্পর্কে বৈঠক করতে গতকাল শুক্রবার দৌলতদিয়া ফেরিঘাট পরিদর্শনে আসেন নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান ও পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।
সকাল সোয়া ১০টায় হেলিকপ্টারে করে দুই মন্ত্রী দৌলতদিয়ায় পৌঁছান। পরে পদ্মার ভাঙনে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দৌলতদিয়ার ৩ ও ৪ নম্বর ফেরিঘাট পরিদর্শনে যান। তাঁরা স্পিডবোটে করে নদীপথে ভাঙন এলাকা ঘুরে দেখে লঞ্চঘাটে নামেন। পরে দৌলতদিয়া ডাকবাংলোয় প্রায় পৌনে একঘণ্টা ফেরিঘাট নিয়ে করণীয় বিষয়ে বৈঠক করেন। বৈঠকে রাজবাড়ী-১ আসনের সাংসদ কাজী কেরামত আলী, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমোডর এম মোজাম্মেল হক, জেলা প্রশাসক জিনাত আরা, পুলিশ সুপার সালমা বেগম, বিআইডব্লিউটির প্রধান প্রকৌশলী মুহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা সেক্টরের উপমহাব্যবস্থাপক শেখ মোহাম্মদ নাসিম, গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ বি এম নুরুল ইসলামও উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান সাংবাদিকদের বলেন, স্থায়ী সমাধানের জন্য উভয় মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ প্রয়োজন। ১৪ নভেম্বর মন্ত্রণালয়ের সে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম বলেন, ‘যেকোনো উপায়ে দৌলতদিয়া ঘাটকে রক্ষা করা প্রয়োজন। ঘাট রক্ষার জন্য পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা লাগবে। তার আগে আমরা সরেজমিন ঘুরে দেখলাম। এতে দেখা গেছে নদীর গতি পরিবর্তন হয়েছে। গতি পরিবর্তনের কারণে ভাঙন বেড়েছিল। দৌলতদিয়া ঘাট রক্ষা করতে মন্ত্রণালয়ের আগামী যৌথ সভায় করণীয় সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’