শরীয়তপুরে কীর্তিনাশার ভাঙনে সড়ক বিলীন

শরীয়তপুরের সদর উপজেলার আড়িগাঁও বাজার এলাকায় আড়িগাঁও-রঙের বাজার সড়কটি কীর্তিনাশা নদীর ভাঙনের কবলে পড়েছে। এতে ওই সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পাঁচটি ইউনিয়নের ৬০টি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ বিপাকে পড়েছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) শরীয়তপুর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন ও বৃহত্তর ফরিদপুর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২০০৮-২০০৯ অর্থবছরে সদর উপজেলার আড়িগাঁও বাজার থেকে রঙের বাজার পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার সড়ক পাকা করা হয়। এটি নির্মাণে এক কোটি পাঁচ লাখ টাকা ব্যয় হয়।
এই সড়ক দিয়ে সদর উপজেলার তুলাসার, বিনোদপুর, মাহমুদপুর, চন্দ্রপুর ও চিতলিয়া ইউনিয়নের মোট ৬০টি গ্রামের মানুষ উপজেলা সদরে যাতায়াত করত। বর্ষা মৌসুমে কীর্তিনাশা নদীর তীব্র ভাঙন শুরু হওয়ায় আড়িগাঁও বাজারের কাছে সড়কটির ১০০ মিটার বিলীন হয়ে যায়। এ কারণে ওই সময় থেকে সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
দক্ষিণ গোয়ালদি গ্রামের নুরুল আলম বলেন, এ এলাকার কৃষকেরা তাঁদের উত্পাদিত কৃষিপণ্য এই সড়ক দিয়ে নছিমন, করিমন ও ভ্যানে করে উপজেলা সদরে নিয়ে যেতেন। ভাঙনের কবলে পড়ায় সড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তাই এখন কৃষিপণ্য বাজারে নিতে কৃষকদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এখনই ওই এলাকায় ভাঙন রোধের ব্যবস্থা না নিলে আগামী বছর বর্ষা মৌসুমে সড়কের একটি বড় অংশ বিলীন হয়ে যাবে।
তুলাসার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুব মোর্শেদ জানান, সড়কটি সংস্কার করার জন্য এলজিইডি ও পানি উন্নয়ন বোর্ডে (পাউবো) একাধিকবার আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু তারা সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়নি।
এলজিইডির সদর উপজেলা প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম জানান, পাউবো ভাঙন ঠেকানোর উদ্যোগ না নেওয়ায় তাঁরা সড়কটি সংস্কার করতে পারছেন না। ভাঙন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য পাউবোকে অনুরোধ করা হয়েছে।
পাউবো শরীয়তপুর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল খালেক বলেন, সড়কটি রক্ষা করার জন্য দেড় কোটি টাকার প্রকল্পের প্রস্তাব পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পটি অনুমোদিত হলে দ্রুত ভাঙন ঠেকাতে কাজ শুরু করা হবে।