ভোলা শহরে রোগাক্রান্ত কুকুর আতঙ্কে মানুষ

ভোলা শহরে কুকুরের উপদ্রব বেড়ে গেছে। এই কুকুরগুলোর শরীরে ঘা। এর দুর্গন্ধে লোকজন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। কুকুরগুলো প্রায়ই লোকজনকে কামড়ে আহত করছে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার কর্মকার বলেন, ‘শহরের কুকুরের সংখ্যা ও রোগাক্রান্ত কুকুর বৃদ্ধি পেয়েছে। চিকিৎসার অভাবে কুকুরগুলোর চামড়া পচে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। তবে কোনো অ্যালার্জির রোগীকে আক্রান্ত কুকুর না ছুঁলে রোগ ছড়ানোর ভয় নেই। কুকুরের এ রোগের জন্য দুটি অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ আছে। তা ছিটালে রোগ নিরাময় হয়। কিন্তু ভোলায় এসব ওষুধের সরবরাহ না থাকায় চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।’ এলাকার কয়েকজন বলেন, ২১ সেপ্টেম্বর শহরের উকিলপাড়ায় ভোলা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যাপক আলতাফ হোসেনকে কুকুর কামড় দেয়। প্রায় তিন মাস হলেও তাঁর ক্ষত শুকায়নি। এভাবে প্রায়ই শহরে কুকুর মানুষকে কামড়াচ্ছে।

বেলার বরিশাল বিভাগীয় কর্মকর্তা লিংকন বায়েন বলেন, কুকুর নিধনের ওপর উচ্চ আদালত নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। তাই পৌরসভা সব বেওয়ারিশ কুকুর খাঁচায় আটকে চিকিৎসা দিতে পারে।

পৌরসভার প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন বলেন, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাসহ সবাই সাহায্য করলে তাঁরা এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবেন।