১৮ দলের হামলায় আ.লীগের কর্মি সভা পণ্ড, আহত ৪

রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় গতকাল বুধবার ১৮-দলীয় জোটের কর্মীরা দুই দফা হামলা চালিয়ে আওয়ামী লীগের কর্মিসভা পণ্ড করে দিয়েছেন। এ সময় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের চারটি মোটরসাইকেলে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
সভাস্থলকে লক্ষ্য করে চারটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে ১৮ দলের কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ বেশ কিছু কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় কৃষক ও ছাত্রলীগের চারজন নেতা-কর্মী আহত হন।
আহত ব্যক্তিরা হলেন, উপজেলার আড়ানি পৌর কৃষকলীগের সভাপতি সাজিদুর রহমান, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইকরামুল হক এবং ছাত্রলীগ কর্মী শাখাওয়াত হোসেন ও বাহাদুর আলী। তাদের সবাইকে চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় সূত্র জানায়, গতকাল উপজেলার শলুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কর্মিসভা আহ্বান করা হয়। এতে রাজশাহী-৬ (চারঘাট-বাঘা) আসনের সাংসদ শাহরিয়ার আলমের থাকার কথা ছিল। সকাল ১০টার দিকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা শলুয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠে জড়ো হন। কিছুক্ষণ পর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মফিজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভার কার্যক্রম শুরু হয়। এ সময় ১৮-দলীয় জোটের নেতা-কর্মীরা গিয়ে তাঁদের ওপর হামলা চালান। এতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পালিয়ে যান। হামলাকারীরা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ফেলে যাওয়া চারটি মোটরসাইকেলে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে ১৮ দলের কর্মীরা সরে যান।
পরে বেলা তিনটার দিকে আবার কর্মিসভা শুরু হয়। এ সময় সাংসদ শাহরিয়ার আলম উপস্থিত হন। একপর্যায়ে ১৮ দলের কর্মীরা দ্বিতীয় দফায় হামলা চালিয়ে সেখানে চারটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটনান। এ সময় পুলিশের সঙ্গে ১৮ দলের কর্মীদের সংঘর্ষ বাধে। পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষ চলাকালে ওই চার নেতা-কর্মী আহত হন। পুলিশের প্রহরায় আওয়ামী লীগের অন্য নেতা-কর্মীদের নিরাপদ গন্তব্যে সরিয়ে নেওয়া হয়।
চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার গোলাম মর্তুজা প্রথম আলোকে বলেন, কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।