আওয়ামী লীগের নেতা মোছলেম উদ্দিন আহমেদকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় ওমরগণি এম ই এস বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের চার ‘নেতাকে’ স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগ। বহিষ্কৃত এ চারজন যাতে ভবিষ্যতে সংগঠনের কোনো পদে আসতে না পারেন, সে জন্য ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে সুপারিশ করা হবে। একই সঙ্গে ওই ঘটনার জন্য মহানগর ছাত্রলীগের নেতারা দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছেন।
গতকাল সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের উদ্যোগে নগরের প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ। এ সময় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম, সহসভাপতি জয়নাল উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বহিষ্কারের সুপারিশ করা চারজন হলেন এম ই এস কলেজ ছাত্রলীগের নেতা ও নগর কমিটির সদস্য ফরহাদ আলম, স্বর্ণেন্দু বিকাশ ধর, সাগর দাশ ও মো. ফোরকান। তাঁরা সবাই কলেজের স্নাতক পর্যায়ের ছাত্র। সংগঠনের কোনো পদে না থাকলে তাঁদের ‘নেতা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।
গত শনিবার লালদীঘি মাঠে চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ মানুষের সঙ্গে ঢাকা থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠান শেষে বের হওয়ার সময় দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদকে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী লাঞ্ছিত করেন। সেখান থেকে পরে সাংসদ আফছারুল আমীনের গাড়িতে করে যাওয়ার সময় নগরের নেভাল এলাকায় কয়েকজন যুবক গাড়িটি আটকানোর চেষ্টা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, লালদীঘির মাঠের ঘটনায় বেশ কিছু ছবি ও ভিডিও পাওয়া গেছে। যাচাই-বাছাই করে ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত চারজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। সংগঠনের শৃঙ্খলাবিরোধী কার্যক্রমে জড়িত থাকায় তাঁদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কাছে সুপারিশ করা হবে। এতে আরও বলা হয়, অভিযুক্ত যুবকেরা গত রোববার মোছলেম উদ্দিনের বাসায় গিয়ে অশোভন আচরণের দায় স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন। একই দিন রাতে মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ কয়েকজন ছাত্রনেতা লাঞ্ছনার শিকার আওয়ামী লীগের নেতার সঙ্গে দেখা করেন।
পদবিহীন নেতাদের বহিষ্কারের সুপারিশ করার বিষয়ে নুরুল আজিম বলেন, পদে না থাকলেও তাঁদের প্রাথমিক সদস্যপদ রয়েছে। ভবিষ্যতে তাঁরা যেন কোনো পদে আসতে না পারেন, সে জন্য বহিষ্কারের সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।